তোড়জোড়: মুখ্যমন্ত্রীর শিল্প সম্মেলনের আগে সেজে উঠেছে পাহাড়। নিজস্ব চিত্র
অশান্তি কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে পাহাড়। এ বার চাই বিনিয়োগ। তাই দার্জিলিঙের শিল্প সম্মেলনের দিকে তাকিয়ে পাহাড়। মঙ্গলবার এই সম্মেলনের উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সোমবারই দার্জিলিং পৌঁছচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী। নবান্ন সূত্রে খবর, সম্মেলনে থাকবেন হর্ষ নেওটিয়া, ময়ঙ্ক জালান, উমেশ চৌধুরীর মতো প্রথম সারির শিল্পপতিরা। থাকবেন বেশ কয়েকটি বড় শিল্প সংস্থার প্রতিনিধিরাও। থাকবেন উত্তরবঙ্গের প্রথম সারির শিল্পপতি কমল মিত্তল সহ অনেকেই। পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ ১৮ জন মন্ত্রীরও থাকার কথা। অসুস্থ হয়ে পড়ায় শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র অবশ্য থাকতে পারবেন না বলেই সরকারি একটি সূত্রের দাবি। তবে শিল্প সচিব সহ প্রথম সারির সব আমলারাই থাকবেন।
সম্মেলনের আহ্বায়ক জিটিএ। অন্যতম অংশীদার সিআইআই। সংস্থা সূত্রের খবর, ইতিমধ্যেই উমেশ চৌধুরী সঞ্জীব গোয়েঙ্কা, ময়ঙ্ক জালান, হর্ষ নেওটিয়া মতো প্রমুখ প্রথম সারির শিল্পপতি কিংবা তাঁদের প্রতিনিধিরা যোগ দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছে। উত্তরবঙ্গের প্রথম সারির শিল্পপতি কমল মিত্তল সহ অনেকেই থাকবেন। পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব, ইন্দ্রনীল সেন, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন মন্ত্রী রবীন্দ্রনাথ ঘোষ সহ ১৮ জন মন্ত্রী থাকার কথা। তবে শারীরিক অসুস্থতার কারণে শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র থাকবেন না বলেই সরকারি একটি সূত্রের দাবি। তবে শিল্প সচিব সহ প্রথম সারির সব আমলারাই থাকবেন।
সিআইআইয়ের উত্তরবঙ্গ শাখার আশা, শিল্প সম্মেলনে চা, পর্যটন, ফুল-ফল ভিত্তিক শিল্পক্ষেত্রে কমপক্ষে দেড় হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের ঘোষণা হতে পারে। পাহাড়ের ব্যবসায়ীদেরও বক্তব্য, বিনিয়োগের অঙ্ক বড় না হলে সমস্যা। গত বছরের মাঝামাঝি থেকে পাহাড়ে গণ্ডগোলে প্রচুর ক্ষতি হয়েছে। চা ও পর্যটন মিলিয়ে ব্যবসা ও সম্পদের ক্ষতির অঙ্ক কমপক্ষে তিনশো কোটি টাকা বলে তাঁদের দাবি। তাই এখন, সেই ক্ষতি সামলে আবার ঘুরে দাঁড়াতে বড় বিনিয়োগের অপেক্ষায় তাঁরা।
সিআইআইয়ের উত্তরবঙ্গ শাখার চেয়ারম্যান রাজীব লোচনের কথায় সেই আশা দেখাও যাচ্ছে। তিনি জানান, সিআইআইয়ের তরফে চা, পর্যটন সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে আগ্রহী বিনিয়োগকারীদের একটি তালিকা বানানো হয়েছে। রাজ্যের সঙ্গে কিছু তথ্য প্রযুক্তি সংস্থার প্রাথমিক কথাও হয়েছে। পাহাড়ে সফটওয়ার ও হার্ডওয়ার তৈরির মিনি হাব তৈরির প্রস্তাব রয়েছে। দার্জিলিঙের কিছু অভিজাত ও হেরিটেজ ভবনে পর্যটনেও বিনিয়োগ আসার কথা।
জিটিএ-এর কেয়ারটেকার বোর্ডের চেয়ারম্যান বিনয় তামাঙ্গও বলেছেন, ‘‘আমরা চাই দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং, মিরিকে কয়েক হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগের স্পষ্ট ঘোষণা হোক।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy