নীরব মোদী।
নীরব মোদী কাণ্ডে পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে (পিএনবি) ১১,৪০০ কোটি টাকার প্রতারণার জেরে ভারতীয় ব্যাঙ্কগুলি সব মিলিয়ে কমপক্ষে প্রায় ২০,০০০ কোটি টাকা ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। শনিবার নয়াদিল্লিতে কর দফতর এ কথা জানানোর পাশাপাশি প্রতারকদের কাছ থেকে ব্যাঙ্কের টাকা উদ্ধারের পথ খোঁজা নিয়েই এ দিন আলোচনা হয়েছে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক কর্তৃপক্ষের সংগঠন ইন্ডিয়ান ব্যাঙ্কস অ্যাসোসিয়েশন (আইবিএ)-এর বৈঠকে।
শনিবার কর দফতর এক বিবৃতিতে এ কথা জানিয়ে বলেছে, নীরব মোদী ও তাঁর আত্মীয়দের বিভিন্ন গয়না সংস্থাকে পিএনবি-র দেওয়া ঋণ ও ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি বাবদ ক্ষতির অঙ্ক এতটা বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা। প্রসঙ্গত, সিবিআই সূত্রের খবর, ২০১১-এ মুম্বইয়ে পিএনবি-র ব্র্যাডি হাউস শাখা থেকে কোনও নিয়মকানুন ছাড়াই বিরাট অঙ্কের ঋণের গ্যারান্টি হাতিয়ে নেয় নীরব ও তাঁর সংস্থা ফায়ারস্টার ডায়মন্ড। লক্ষ্য ছিল হংকং থেকে হিরে কেনা। যার মানে, টাকা মেটানো না হলে তার দায়িত্ব ব্যাঙ্কের। সেই নথি দেখিয়ে আবার এলাহাবাদ ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক এবং আরও কিছু ব্যাঙ্কের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ ঋণ জোগাড় করেন নীরব।
কর দফতর সূত্রের খবর, গত ২০১৭-র মার্চ পর্যন্ত হিসেবে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক নীরব মোদী, তাঁর মামা মেহুল চোকসি ও অন্যান্য আত্মীয়ের সংস্থাকে ঋণ ও গ্যারান্টি খাতে ১৭,৬৩২ কোটি টাকা দিয়েছে। তবে শেষ পর্যন্ত ওই অঙ্কও ছাড়িয়ে যাবে বলে ইঙ্গিত কর দফতরের।
এ দিকে, বিভিন্ন ব্যাঙ্ক থেকে প্রতারকদের নানা কৌশলে হাতিয়ে নেওয়া ঋণের টাকা আদায় করার পথ নিয়েই মুম্বইয়ে আইবিএ-র বৈঠকে আলোচনায় বসেন রাষ্ট্রায়ত্ত ও বেসরকারি ব্যাঙ্কের কর্তারা। আইবিএ চেয়ারপার্সন উষা অনন্তসুব্রহ্মণ্যন, এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের এমডি ও চিফ এগ্জিকিউটিভ, ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়ার কর্তা, আইসিআইসিআই ব্যাঙ্কের প্রতিনিধি এবং আরও কিছু ব্যাঙ্ককর্তা যোগ দেন বৈঠকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy