Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪
ছাপা বন্ধ, মুখে কুলুপ জেটলির

দু’হাজারের নোট নিয়ে সরগরম সংসদ

রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সামনে বিরোধীদের প্রশ্ন, তবে কি ২০০০ টাকার নোটও এ বার ফেরানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র? সত্যিই কি আসছে ১০০০ টাকার কয়েন?

সতর্ক: অন্য প্রসঙ্গে সরব হলেও, মুখ খুললেন না নোট নিয়ে। বুধবার রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।

সতর্ক: অন্য প্রসঙ্গে সরব হলেও, মুখ খুললেন না নোট নিয়ে। বুধবার রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।

নিজস্ব সংবাদদাতা
নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২৭ জুলাই ২০১৭ ০৪:০৫
Share: Save:

নোট বাতিলের ঠিক পরেই প্রথমে তা হাতে পাওয়ার জন্য ব্যাঙ্ক, এটিএমে লম্বা লাইন। দীর্ঘ অপেক্ষা। হাতে পেয়ে আবার প্রায়শই নাস্তানাবুদ ভাঙানোর জন্য। এই দু’ধাপ পেরিয়ে দু’হাজারের নোট নিয়ে নতুন জল্পনায় বুধবার সরগরম রইল সংসদ।

রাজ্যসভায় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির সামনে বিরোধীদের প্রশ্ন, তবে কি ২০০০ টাকার নোটও এ বার ফেরানোর কথা ভাবছে কেন্দ্র? সত্যিই কি আসছে ১০০০ টাকার কয়েন? ২০০ টাকার নোট বাজারে আসার যে কথা শোনা যাচ্ছে, তা-ই বা কতদূর? এ প্রসঙ্গে জেটলির মুখে কুলুপ। তবে মন্ত্রক সূত্রে খবর, ২০০০ টাকার নোট আর ছাপা হচ্ছে না। কালো টাকা রুখতে ও ভাঙানোর অসুবিধা মাথায় রেখে সরকার দীর্ঘ মেয়াদে কম অঙ্কের নোট বেশি লেনদেনেরই পক্ষপাতী।

বেশ কিছু দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে যে, নোট বাতিলের পরে চালু হওয়া দু’হাজারের গোলাপি রঙা নোট ছাপা বন্ধ করে দিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বরং পুরোদমে ছাপা হচ্ছে ২০০ টাকার নোট। খুব শীঘ্রই না কি তা আসতে চলেছে বাজারে। সেই প্রসঙ্গেই এ দিন সংসদে বিরোধী নেতাদের প্রশ্ন, এ বার কি তবে দু’হাজার টাকার নোটও বাতিল করবে মোদী সরকার? জেটলি অবশ্য এ নিয়ে মুখ খোলেননি।

রিজার্ভ ব্যাঙ্ক সূত্রের খবর, আগামী দিনে ২০০ টাকার নোট চালু হবে। এখন তা ছাপার দিকে নজর দেওয়া হচ্ছে। দু’হাজারের নোট আর ছাপা হচ্ছে না মূলত সেই কারণেই। পাঁচ মাস আগেই না কি ওই নোট ছাপা বন্ধ হয়ে গিয়েছে টাঁকশালে। কেন্দ্র বা শীর্ষ ব্যাঙ্ক অবশ্য ২০০ বা ২০০০ টাকার নোট নিয়ে কোনও ঘোষণা সরকারি ভাবে এখনও করেনি।

এ দিন রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদ প্রশ্ন তোলেন, ‘‘কখনও শুনি ১০০০ টাকার কয়েন চালু হবে। কখনও ২০০ টাকার নোট! সত্যিটা কী?’’ সমাজবাদী পার্টির নেতা নরেশ অগ্রবাল বলেন, ‘‘কেন্দ্র যদি দু’হাজারের নোট তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে থাকে এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ককে আর ওই নোট না-ছাপানোর নির্দেশ দেওয়া হয়, তবে সেটি নীতিগত সিদ্ধান্ত। সংসদীয় অধিবেশন চলাকালীন তা নেওয়া হলে, সংসদকে জানানোই প্রথা।’’ ডিএমকে নেতা তিরুচি সিলভার দাবি, সরকার আসল পরিস্থিতি জানাক। জেডি(ইউ)-র শরদ যাদব দাবি তোলেন এ সব নিয়ে গুজবে ইতি টানার জন্য। নইলে বাজারে লেনদেন ধাক্কা খাবে।

এই অবস্থাতেও রাজ্যসভায় জেটলি কিন্তু এ দিন মুখ খোলেননি। অর্থ মন্ত্রক সূত্রের অবশ্য বক্তব্য, নোট নাকচের পরে নগদের সমস্যা দ্রুত মেটাতেই ২০০০ টাকার নোট চালুর কথা ভাবা হয়েছিল। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হতেই নতুন ৫০০ টাকার নোট বেশি ছাপা শুরু হয়।

তা ছাড়া কালো টাকা নিকেশের লক্ষ্য মাথায় রাখলে, দু’হাজারের নোটও বাজারে দীর্ঘদিন থাকতে পারে না। বড় অঙ্কের নোটেই তো বেশি কালো টাকা ধরে রাখা সুবিধাজনক। তা ছাড়া, দৈনন্দিন লেনদেনে ২০০০ টাকার নোট সমস্যা তৈরি করছে। প্রায়ই সমস্যায় পড়তে হচ্ছে তা ভাঙাতে গিয়ে। সেই কারণেই নতুন ৫০০ টাকা, পুরনো ১০০ টাকার পাশাপাশি এখন ২০০ টাকার নোটও চালুর কথাও ভাবা হচ্ছে। যাতে অর্থনীতিতে কম অঙ্কের নোটের পরিমাণই বড় অঙ্কের নোটের তুলনায় অনেকখানি বেশি হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE