১৩ বছরে এই প্রথম বন্ধ শেয়ারে ডিভিডেন্ডচিনে জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার কারখানা।—ফাইল চিত্র।
টাটা মোটরসের আয়ের ৮০ শতাংশেরও বেশি আসে শাখা সংস্থা জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভারের হাত ধরে। আর, তার সবচেয়ে বড় বাজার চিন। আর চিনে সেই জেএলআর কারখানায় বিক্রি পড়ার জেরই টেনে নামাল টাটা মোটরসের মুনাফা। বিশেষজ্ঞরা এর জন্য ঢিমেতালে চলা চিনা অর্থনীতিকেই দায়ী করেছেন। সে দেশে আর্থিক বৃদ্ধি ২০১৫-র গোড়ায় নেমেছে গত ছ’বছরের তলানিতে। এর প্রভাবেই কমছে দামি গাড়ির চাহিদাও।
গত ২০১৪-’১৫ অর্থবর্ষের শেষ তিন মাসে (জানুয়ারি থেকে মার্চ) টাটা মোটরসের নিট মুনাফা কমেছে ৫৬ শতাংশ। মুনাফার অঙ্ক নেমে এসেছে আগের বছরের একই সময়ের ৩৯১৮.২৯ কোটি টাকা থেকে ১৭১৬.৫০ কোটি টাকায়। পুরো অর্থবর্ষে দেশের মধ্যে ব্যবসায় লোকসান ৪৭৩৮.৯৫ কোটি টাকা, শুধু চতুর্থ ত্রৈমাসিকে ১১৬৪ কোটি টাকা। এই ঘোরালো পরিস্থিতিতে ১৩ বছর পরে শেয়ারে ডিভিডেন্ড দেওয়া বন্ধ রাখতে বাধ্য হল সংস্থা। এর আগে ২০০০-’০১ ও ২০০১-’০২ সালে বন্ধ রাখার পর থেকে একটানা ডিভিডেন্ড দিচ্ছিল সংস্থা।
বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, খুব তাড়াতাড়ি চিনের পরিস্থিতি বদলাবে বলে তাঁরা মনে করছেন না। উল্লেখ্য, জানুয়ারি থেকে মার্চে সাধারণ ভাবে গাড়ি বিক্রি চিনে বেড়েছে মাত্র ৩.৯ শতাংশ। তবে জেএলআরের বিক্রি কমেছে ২০ শতাংশ, যেখানে গত বছর তা বেড়েছিল ৩৬ শতাংশ। এই পরিস্থিতিতে অডি, মার্সিডিজ-এর মতো বিদেশি গাড়ি সংস্থা চাপে পড়ে চিনে গাড়ির দাম কমিয়ে দিচ্ছে। মঙ্গলবার ফলাফল ঘোষণার পরে জেএলআর-এর সিইও র্যাল্ফ স্পেথ অবশ্য জানান, এখনই প্রতিযোগীদের পথে হেঁটে দাম কমানো তাঁদের পক্ষে সম্ভব নয়।
খারাপ ফলাফলের জেরে বুধবার মুম্বই বাজারে টাটা মোটরসের শেয়ার দর পড়েছে ৫.১২%। বাজারে শেয়ার মূল্য এক ধাক্কায় কমেছে ৭৯৪৪ কোটি টাকা।
চতুর্থ ত্রৈমাসিকে টেক মহীন্দ্রার আর্থিক ফলও চূড়ান্ত ভাবে হতাশ করেছে শেয়ার বাজারকে। সংস্থার নিট মুনাফা আগের বছরের ওই সময়ের থেকে ১৪২.২১ কোটি টাকা কমে হয়েছে ৪৭২ কোটি টাকা। ফলে এক দিনেই বাজারে মোট শেয়ার মূল্য কমে গিয়েছে ৮৭৩০.৯৮ কোটি টাকা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy