আশিস চহ্বাণ
সাধারণ ক্ষুদ্র লগ্নিকারীদের শেয়ার বাজারে আকৃষ্ট করতে ঝুঁকিহীন প্রকল্প চালু করা জরুরি বলে মন্তব্য করেন বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জ (বিএসই)-র ম্যানেজিং ডিরেক্টর ও সিইও আশিস চহ্বাণ। তিনি জানান, এর জন্য সরকারি বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেনের ব্যবস্থা চালু করা জরুরি। কী ভাবে করা যায়, তা খতিয়ে দেখতে একটি বিশেষ কমিটি গঠন করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অব ইন্ডিয়া।
শনিবার কলকাতায় সিআইআই আয়োজিত মূলধনী বাজার নিয়ে এক সভা শেষে চহ্বাণ বলেন, ‘‘দেশে মাত্র ২% মানুষ শেয়ার বা বন্ডের বাজারে লগ্নি করেন। এর প্রধান কারণ ঝুঁকি। তাই এমন প্রকল্প চালু করা জরুরি, যাতে ঝুঁকি নেই অথবা থাকলেও খুব কম। সরকারি বন্ড বাজারে ছাড়া বা তার ইনিশিয়াল পাবলিক অফার (আইপিও) এবং পরবর্তী কালে তার লেনদেন শেয়ার বাজারের মাধ্যমে চালু করা হলে সাধারণ লগ্নিকারীরা আকৃষ্ট হবেন।’’
এ দিন দেশের আর্থিক ক্ষেত্রের ভবিষ্যৎ নিয়ে বিতর্ক সভার আয়োজন করে সিআইআই। সেখানে অংশগ্রহণকারী বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, স্বল্প মেয়াদে দেশের আর্থিক হাল নিয়ে সমস্যা থাকলেও দীর্ঘ মেয়াদে অর্থনীতি নিয়ে তাঁরা আশাবাদী। যদিও বিতর্কসভার সঞ্চালক বন্ধনের বিশেষ পরামর্শদাতা তমাল বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, জন-ধন প্রকল্প-সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি বাস্তবে যতটা ঘটেছে, তার থেকে অতিরঞ্জিত করে প্রচার করা হচ্ছে।
এই দিন চহ্বাণ জানান, সরকারি বন্ড স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেন করার ব্যবস্থা চালু করার ক্ষেত্রে প্রধান অন্তরায় হল ডিপজিটরি-র সমস্যা। কী ভাবে তা কাটানো যায়, সেটা খতিয়ে দেখতে সেবি, এনএসডিএল-সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন কৃর্তপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। চহ্বাণ জানান, ‘‘আশা করছি ৬ থেকে ৯ মাসের মধ্যেই স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে সরকারি বন্ড লেনদেন চালু হয়ে যাবে।’’
সম্প্রতি ২০টি অ্যাসেট ম্যানেজমেন্ট সংস্থা বিশেষ ধরনের মিউচুয়াল ফান্ড বাজারে ছেড়েছে। সেগুলি স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে লেনদেন হচ্ছে। এতেও ঝুঁকি খুব কম বলে মন্তব্য করেন চহ্বাণ। তিনি বলেন, ‘‘এই প্রকল্পে এক দিনের জন্যও লগ্নি করা যায়। যেমন আজ বেলা ১টার সময়ে কেউ লগ্নি করলে আগামী কাল সকাল ৯টার মধ্যেই সুদ সমেত টাকা ফেরত পাবেন। কর কাটার আগের হিসাব অনুযায়ী সুদ পাওয়া যাবে প্রায় ৯%। প্রকল্পের টাকা কল মানি-সহ অতি অল্প মেয়াদের লগ্নি ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করা হয়ে থাকে। বিএসইতে এ ধরনের প্রকল্পে দিনে প্রায় ৫০০ কোটি টাকা লেনদেন হচ্ছে।’’ বিএসই-তে পণ্য লেনদেন চালু করার জন্যও তাঁরা উদ্যোগী হয়েছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy