পঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাঙ্কে (পিএনবি) নীরব মোদী কাণ্ডের মতো ঘটনা আটকাতে মঙ্গলবার লেটার অব আন্ডারটেকিং (এলওইউ) মঞ্জুর করার উপর কড়া বিধিনিষেধ আরোপ করেছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। রাশ টেনেছে লেটার অব কমফর্টের উপরেও। এই সিদ্ধান্তের প্রভাব সংস্থাগুলির ব্যবসার উপরে পড়বে বলে বুধবার মত প্রকাশ করল ভারতীয় শিল্প মহল।
সিআইআইয়ের প্রেডিসেন্ট শোভনা কামিনেনির দাবি, এত দিন যাঁরা এলওইউ এবং লেটার অব কমফর্টের সাহায্য নিয়ে ব্যবসা করতেন, তাঁদের এখন টাকা জোগাতে অন্য পথ খুঁজতে হবে। যার মধ্যে রয়েছে লেটার অব ক্রেডিট এবং ব্যাঙ্ক গ্যারান্টি। এতে মাঝারি মেয়াদে ব্যবসার আর্থিক স্বাস্থ্যে প্রভাব পড়বে।
পিএইচডি চেম্বারের প্রেসিডেন্ট অনিল খেতানের মতে, এই সিদ্ধান্তে সংস্থাগুলির হাতে বাড়তি কার্যকরী মূলধন রাখতে হবে। আর এতে বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে ছোট ও মাঝারি শিল্প। কারণ, এই সব সংস্থার আলাদা করে কার্যকরী মূলধন খুব বেশি থাকে না। তাঁর দাবি, এই ধরনের সিদ্ধান্তে প্রতারণা আটকানো সম্ভব নয়। রফতানিকারীদের সংগঠন ফিও-র অবশ্য বক্তব্য, মূলত হিরে ও গয়না সংস্থাগুলিই এলওইউ ব্যবহার করে। ফলে অন্যদের উপরে খুব একটা প্রভাব পড়বে না।
এ দিকে, এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে নীতি তৈরির দায়িত্বে থাকা বিভিন্ন কর্তৃপক্ষের সব দিক ভেবে সিদ্ধান্ত নেওয়া উচিত বলে বুধবার জানালেন অর্থ মন্ত্রকের মুখ্য উপদেষ্টা সঞ্জীব সান্যাল। এ দিন পিএনবি কেলেঙ্কারির নাম না করে তিনি বলেন, একটি ঘটনাকে আলাদা করে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। আজকের দুনিয়ায় একটি ঘটনা বাদবাকি অনেক কিছুর সঙ্গে যুক্ত। তাই নীতি তৈরির সময়ে দেখতে হবে এই ধরনের সিদ্ধান্ত যেন ক্রমশ অন্যান্য ক্ষেত্রেও ছড়িয়ে না পড়ে।
উল্লেখ্য, আমদানি-রফতানি লেনদেন ছাড়া বিদেশ থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রেও এলওইউ মঞ্জুর করে ব্যাঙ্কগুলি। এ জন্য আমদানিকারীকে দু’টি জিনিস বন্ধক রাখতে হয়। প্রথমত, যে পণ্য আমদানি করা হল, তা সংশ্লিষ্ট ব্যাঙ্কের অনুমতি ছাড়া বিক্রি করা যায় না। এ ছাড়া, নির্দিষ্ট অঙ্কের টাকা বা সমান টাকার স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তিও বন্ধক রাখতে হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy