প্রতীকী ছবি।
ব্যারেলে ৭৫ ডলার ছাড়িয়ে বিশ্ব বাজারে অশোধিত তেলের দাম হয়েছে তিন বছরে সব চেয়ে বেশি। তা সত্ত্বেও মঙ্গলবার ১৬৫.৮৭ পয়েন্ট উঠল সেনসেক্স। দাঁড়াল ৩৪,৬১৬.৬৪ অঙ্কে। বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, বাজার পড়লেই শেয়ার কিনতে নেমে পড়া এবং উঠলেই মুনাফার টাকা ঘরে তুলতে সেগুলি বিক্রির ঝোঁক— এই দুই বিষয়ে চোখ রেখে এগোচ্ছেন লগ্নিকারীরা। তাই তেল আমদানি খাতে খরচ বাড়ার মতো দুশ্চিন্তা কিছুটা হলেও এড়িয়ে যাওয়া গিয়েছে।
ক্যালকাটা স্টক এক্সচেঞ্জের প্রাক্তন ডিরেক্টর এস কে কৌশিক বলেন, ‘‘বাজার পড়লে লগ্নিকারীরা শেয়ার কিনছেন বলেই বাড়ছে সূচক। আবার দাম কিছুটা বাড়লে তাঁদের শেয়ার বিক্রিতে নামছে সূচক। চূড়ান্ত অনিশ্চিত বাজারে শেয়ার কেনা-বেচার এই সমীকরণে সূচকের গতিবিধি এ রকমই হবে।’’
এ দিন সূচকের উত্থানে ইন্ধন জুগিয়েছে আরও কিছু কারণ। বড় মাপের বেশ কিছু কর্পোরেট সংস্থার চতুর্থ ত্রৈমাসিক তথা গত অর্থবর্ষের আর্থিক ফল ভাল করা। দেশীয় লগ্নিকারী সংস্থাগুলির বিনিয়োগ। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম বৃদ্ধি।
যদিও দু্শ্চিন্তা এখনও আছে বলে মনে করছেন অনেক বিশেষজ্ঞই। কারণ, কিছুটা ভাটা পড়লেও, আমেরিকা-চিন শুল্ক যুদ্ধের মেঘ পুরো কাটেনি। সিরিয়া ও কোরিয়াকে ঘিরে আন্তর্জাতিক দুনিয়ায় রাজনৈতিক উত্তেজনা বহাল রয়েছে। দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতিও কিছুটা টালমাটাল। তাই কেউ কেউ মনে করছেন ভারতের শেয়ার বাজারে অনিশ্চয়তা আগামী দিনে বাড়তে পারে। কৌশিকও বলেন, ‘‘এর প্রধান কারণ রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা বৃদ্ধি। যার মূলে রয়েছে কেন্দ্রের স্থায়িত্বের ভিত ক্রমশ ন়ড়বড়ে হয়ে পড়া।’’ বিশ্ব বাজারে তেলের দামও ভোগাতে পারে। অনেকে বলছেন এ দিন তা এতটা না বাড়লে, সূচক আরও উঠত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy