আমজনতার মোবাইল ফোনের নম্বর ১০ সংখ্যারই থাকছে। এখন তা বদলের সম্ভাবনা নেই বলে দাবি টেলিকম শিল্পের। তবে ইন্টারনেটের উপর ভিত্তি করে যন্ত্রে (যেমন গাড়িতে বা বৈদ্যুতিক মিটারে) ব্যবহৃত সিমের নম্বর দশের বদলে ১৩ সংখ্যার হবে।
মোবাইলে কথা বলার পাশাপাশি ‘ইন্টারনেট অব থিঙ্গস’ পরিষেবার যন্ত্রেও সিম ব্যবহৃত হয়। সব টেলি সংস্থাই তা বিক্রি করে। যন্ত্র থেকে সরাসরি ভাঁড়ারে জমা হয় তথ্য। শিল্পের পরিভাষায় এটিই ‘মেশিন টু মেশিন’ (এমটুএম) সিম। নিরাপত্তার কারণে সাধারণ সিমের চেয়ে আলাদা রাখতে এমটুএম সিমকে ১৩ সংখ্যার করা নিয়ে বছর তিনেক ধরে চর্চা চলছিল। সম্প্রতি টেলিকম দফতর জানিয়েছে, ১ জুলাই থেকে সব নতুন এমটুএম সিম ১৩ সংখ্যারই হবে। ১০ সংখ্যার সিমগুলি ১ অক্টোবর থেকে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে বদলে নিতে হবে টেলি পরিষেবা সংস্থাগুলিকে।
আর এই নির্দেশকে ঘিরেই বুধবার রাজ্য-সহ সারা দেশে সমস্ত মোবাইল নম্বর ১৩ সংখ্যায় বদলে যাওয়ার জল্পনা ছড়ায় কিছু হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায়। যদিও ভোডাফোন, এয়ারটেল, বিএসএনএলের মতো সংস্থা জানিয়েছে, এটি গুজব।
দূরে থেকেও যন্ত্র মারফত তথ্য জানাই এমটুএম পরিষেবা। যেমন গাড়ির অবস্থান, তাতে এসি চলছে কি না, তার গতি কত, ব্যাটারি ভোল্টেজ কত, সেটি চুরি হলে কোথায় রয়েছে, ইত্যাদি তথ্য জানতে মালিক গাড়িতে সেই যন্ত্র লাগাতে পারেন। ওই সিম ভরা হয় তাতে। যা সাধারণ ফোনে ব্যবহার করা যায় না। বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থা এই ব্যবসা করে। দিনরাত পাওয়া তথ্য বিশ্লেষণ করে গাড়ির মালিককে তারা তা জানায়। পরিবহণ ব্যবস্থাও এ ভাবে অনুসরণ করা যায়। জানা যায় স্মার্ট মিটারে বিদ্যুৎ বা গ্যাসের খরচের তথ্য। ওই সবের সিম-ই ১৩ সংখ্যার হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy