বৃহস্পতিবার এক ধাক্কায় সেনসেক্স পড়ে গেল ৪৬১.০২ পয়েন্ট। দাঁড়াল ২৫,৬০৩.১০ অঙ্কে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফ্টি ১৩২.৬৫ পয়েন্ট পড়ে থিতু হয়েছে ৭৮৪৭.২৫ অঙ্কে।
ডলারের সাপেক্ষে টাকার দামও পড়েছে ২ পয়সা। ফলে এক ডলার এখন ৬৬.৫২ টাকা। বিদেশি মুদ্রার বাজার সূত্রের খবর, প্রতি মাসের শেষের দিকে আমদানিকারীদের তরফে ডলার কেনার চাহিদা বাড়ে। এ দিনও টাকার দাম পড়ার ক্ষেত্রে প্রধানত ওই কারণটিই কাজ করেছে।
শেয়ার বাজার যে এখনও কতটা অনিশ্চিত, এ দিন সূচকের পতনে স্পষ্ট হল সেটাই। বৃহস্পতিবার ছিল আগাম লেনদেনের সেট্লমেন্টের দিন। বিশেষজ্ঞেরা বলছেন, বাজারের অনিশ্চিত অবস্থা দেখে লগ্নিকারীরা শেয়ার ধরে রাখতে সাহস পাননি। তাঁদের মধ্যে শেয়ার বিক্রির ধুম পড়ে যায়। আর সেটাই সূচককে টেনে নামায়।
তা ছাড়া, আন্তর্জাতিক বিভিন্ন ঘটনার প্রভাব ভারতের বাজার যে এড়াতে পারে না, ফের সেটারও প্রমাণ মিলেছে এ দিন। গত কালই আমেরিকা ও জাপানের শীর্ষ ব্যাঙ্ক যথাক্রমে ফেডারেল রিজার্ভ এবং ব্যাঙ্ক অব জাপানের পরিচালন পর্ষদের বৈঠক ছিল। কেউই সুদের হার বদলায়নি। তবে ব্যাঙ্ক অব জাপান দেশের আর্থিক হাল ফেরাতে ত্রাণ প্রকল্প ঘোষণা করতে পারে বলে মূলধনী বাজার মহলের যে আশা ছিল, তা পূরণ হয়নি। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এটাই লগ্নিকারীদের হতাশ করেছে। যে-কারণে ভারত ও জাপানের (নিক্কেই নেমেছে ৩.৬১%) পাশাপাশি পড়ে গিয়েছে সাংহাই এবং ইউরোপের বেশ কিছু শেয়ার সূচকও। বিশ্ব জুড়ে পতনের ঢেউই এসে পড়ে ভারতে।
তবে ভাল খবর এটাই যে, ভারতের উপর আস্থা অটুট বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলির। তারা বুধ ও বৃহস্পতিবার মিলে ৫৩১.৬৩ কোটি টাকা ঢেলেছে। বরং ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি মুনাফার টাকা তুলে নেওয়ার জন্য এ দিন শেয়ার বেচেছে ৪১৬ কোটি টাকার।
এ দিকে, ভাল ভাবে উতরে গিয়েছে রাষ্ট্রায়ত্ত জলবিদ্যুৎ সংস্থা এনএইচপিসির বিলগ্নিকরণ। বাজারে ছেড়ে সংস্থার ১১.৩৬% শেয়ার বেচল কেন্দ্র। ঘরে তুলল ২,৭০০ কোটি। প্রতিটি শেয়ার বিক্রি করা হয়েছে ২১.৭৫ টাকা দরে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy