ঘুরে দাঁড়াল সূচক এবং আইটিসি-র শেয়ার দর। আগের দিন ৩৬৩.৭৯ পয়েন্ট পড়ার পরে বুধবার এক লাফে সেনসেক্স বেড়ে গেল ২৪৪.৩৬ পয়েন্ট। পাশাপাশি, জিএসটি-র আওতায় সেস বসার জেরে আগের দিন প্রায় ১৩ শতাংশ পড়ার পরে এ দিন আইটিসি শেয়ারের দাম বাড়ল ২.৪২ শতাংশ। ওষুধ তৈরির সংস্থার শেয়ারের দামও ছিল ঊর্ধ্বমুখী।
সূচকের বৃদ্ধির সুবাদে এ দিন বিএসইতে বাজারে ছাড়া সমস্ত শেয়ারের মোট মূল্য (মার্কেট ক্যাপিটালাইজেশন) সর্বকালীন রেকর্ড অঙ্ক ছুঁয়ে ফেলল। লেনদেনের শেষে বিএসই-র মার্কেট ক্যাপ গিয়ে ঠেকেছে ১৩১ লক্ষ ২৬ হাজার ৬৪৪ কোটি টাকায়। উল্লেখ্য বিএসইতে নথিভুক্ত মোট সংস্থার সংখ্যা ৫২০০। এর মধ্যে ২৮৫৩টি সংস্থার শেয়ার নিয়মিত লেনদেন হয় বলে সংবাদ সংস্থা পিটিআইয়ের খবর।
বাজার বন্ধের সময়ে এ দিন সেনসেক্স ছিল ৩১,৯৫৫.৩৫ অঙ্কে। পাশাপাশি নিফ্টি আগের দিনের থেকে ৭২.৪৫ পয়েন্ট বেড়ে থিতু হয় ৯৮৯৯.৬০ অঙ্কে।
বেড়েছে টাকার দামও। ডলারের সাপেক্ষে টাকার দাম ৫ পয়সা বাড়ার ফলে বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময় প্রতি ডলারের দাম এসে দাঁড়ায় ৬৪.২৮ টাকা। গত ৬ সপ্তাহের মধ্যে টাকার দাম এতটা বাড়েনি। এ নিয়ে টানা তিন দিন বাড়ল ভারতীয় মুদ্রার মূল্য।
আরও পড়ুন: শালবনির জমি ফেরাতে চায় জিন্দল
এই দিন শুধু আইটিসি নয়, দাম বেড়েছে সিগারেট তৈরির অন্য সংস্থায় ভাজির সুলতান টোবাকো (ভিএসটি)-রও। সম্প্রতি জিএসটি পরিষদের বৈঠকে সিগারেটের উপর সেস বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে, যদিও তার জেরে দাম বাড়বে না বলে জানিয়ে দিয়েছে কেন্দ্র। ওই সেস বাড়ানোর বিরূপ প্রভাব মঙ্গলবার পড়ে সংস্থার শেয়ার দরে। এক ধাক্কায় আইটিসির শেয়ারের দাম বিএসইতে ১২.৬৩ শতাংশ পড়ে গিয়েছিল। এনএসইতেও পতনের হার ছিল প্রায় একই। এ দিন অবশ্য পতন কাটিয়ে ওঠে সিগারেট সংস্থাগুলি।
সিগারেট ছাড়া ওষুধ সংস্থার শেয়ারের দামও ছিল ঊর্ধ্বমুখী। চাহিদা ভাল ছিল কোল ইন্ডিয়া, টিসিএস, ইন্ডিয়ান অয়েল, এইচপিসিএল, বিপিসিএল, ওএনজিসির মতো সংস্থার শেয়ারেরও। তবে এই দিন উল্লেখযোগ্য ভাবে বেড়েছে ভারতী এয়ারটেলের শেয়ারের দাম। বিএসইতে ওই সংস্থার শেয়ারের দাম এক লাফে ৩.২১ শতাংশ বেড়ে যায়।
ভারতের বাজারে ফের টানা শেয়ার কিনছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। গত মঙ্গলবারই ওই সব সংস্থা এ দেশে লগ্নি করেছে ৩১৭.৪৪ কোটি টাকা। তবে বিদেশি সংস্থাগুলির বিপরীতে হেঁটে ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি কিন্তু ওই দিন শেয়ার বিক্রি করেছে ৯৭৫.০১ কোটি টাকা। সম্প্রতি ওই দুই শ্রেণির লগ্নিকারী সংস্থাই শেয়ার বাজারে তাদের ভূমিকা বদল করেছে। কিছু দিন আগে পর্যন্ত বিদেশি সংস্থাগুলি টানা শেয়ার বিক্রি করছিল। আর ক্রেতার ভূমিকায় ছিল ভারতীয় সংস্থা। এখন হচ্ছে উল্টোটা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy