নগদহীন কেনাকাটায় উৎসাহ জোগাতে সম্প্রতি কেন্দ্র যে ইউনিফায়েড পেমেন্টস ইন্টারফেস (ইউপিআই) অ্যাপ এনেছে, তার বড় সমর্থক তিনি। শুধু তাই নয়, এই পরিকাঠামো ব্যবহার করে এ দেশে আরও কী কী করা যেতে পারে, তা খতিয়েও দেখতে শুরু করেছেন তাঁরা। নরেন্দ্র মোদী সরকারের ডিজিটাল ভারত তৈরির যজ্ঞে পাশে থাকার কথা বৃহস্পতিবার ঠিক এ ভাবেই জানিয়ে দিলেন গুগ্ল সিইও সুন্দর পিচাই।
আইআইটি খড়্গপুরের অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, ডিজিটাল লেনদেনে ভারত যেখানে দাঁড়িয়ে, তাতে ভবিষ্যতে এর বিপুল সুবিধা মিলবেই। আর এটা আঁচ করেই টাকা মেটানোর এই ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তোলার লক্ষ্যে হাত বাড়িয়ে দিতে চাইছে গুগ্লও।
পিচাইয়ের মতে, ভারতে ডিজিটাল দুনিয়ার বিপুল সম্ভাবনা বাস্তবে পরিণত করতে দরকার দু’হাজার টাকায় ভাল মানের স্মার্ট ফোন। এর হাত ধরেই নেট দুনিয়ার যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা নিমেষে মুঠোবন্দি করতে পারবেন আমজনতা।
তবে এ দেশে ডিজিটাল বিপ্লবের পথে তিনটি বাধাকে চিহ্নিত করেছেন পিচাই: গ্রামাঞ্চলে দুর্বল নেট যোগাযোগ, ভাষা সমস্যার জেরে নাগালের বাইরে থেকে যাওয়া প্রযুক্তি ও মহিলাদের নেট-শিক্ষিত করায় ঘাটতি। যে তিন সমস্যার সমাধান করতেই এ বার কেন্দ্রের সঙ্গে জোট বাঁধছে গুগ্ল।
পিচাই জানান, বিভিন্ন রেল স্টেশনে ওয়াই-ফাই প্রযুক্তি দেওয়ার জন্য ইতিমধ্যেই রেলটেল-এর সঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা। পা বাড়িয়েছেন অন্যান্য ক্ষেত্রে সরকারি-বেসরকারি যৌথ উদ্যোগের (পিপিপি) মডেল অনুসরণ করার পথেও। তাঁর কথায়, ‘‘পিপিপি মডেল বিশ্বের সব জায়গায় কাজ করে না। তবে ভারতে তা যথেষ্ট কার্যকর। আমরা ন্যাশনাল পেমেন্টস কর্পোরেশনের সঙ্গে জোট বেঁধেছি।’’ প্রসঙ্গত, খড়্গপুর রেল স্টেশনে নিখরচায় ওয়াই-ফাই পরিষেবা দেওয়ার পরিকল্পনাও এই কর্মসূচির আওতায় রেখেছে গুগ্ল। যে-রেল স্টেশনে এক সময়ে জুনিয়র ছাত্র হিসেবে কলেজের সিনিয়রদের মালপত্র টানতে হত বলে জানান পিচাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy