বছর প্রায় শেষের মুখে। হাল্কা শীত আর সঙ্গে ছুটির মেজাজ। উপরি হিসেবে মাঝেমধ্যেই আত্মীয়-স্বজনের বাড়ি কিংবা পাড়ায় নেমন্তন্ন। এখন যে বিয়ের ভরা মরসুম। আর বিয়ের কথা মাথায় আসতেই মনে পড়ে গেল সোনার কথাও। সোনার গয়না ছাড়া বিয়ে— তা আবার হয় না কি?
সোনা যে শুধু আর গয়নায় আটকে নেই, তা আমাদের বহু দিনই জানা। ওই দামি ধাতু যে এখন কাগজ কিনেও জমা করা যায়, তা-ও আমরা প্রায় সকলেই জানি। তবু এত কিছুর পরেও কেন জানি সোনা বললেই প্রথম গয়নার কথাই আগে মনে পড়ে। মনে হয়, বাড়িতে মেয়ে থাকলে, পরে তার বিয়ে-থার জন্য অনেক আগে থেকে অল্প-অল্প করে তা কিনে রাখা ভাল। অনেকের আবার দৃঢ় বিশ্বাস, খুব দায়ে পড়লে, বিপদ থেকে বাঁচাতে সোনার গয়নার জুড়ি নেই। এর কোনওটিই একেবারে ভুল নয়। তবু আমার মতে, একটু অন্য ভাবে ভেবে দেখারও বোধহয় অবকাশ আছে। তা হল, কাগজ জমিয়ে সোনা কেনা!
চলুন পাল্টাই
কে বলেছে যে, সন্তানের বিয়ে দেওয়ার গয়নার বন্দোবস্ত করতে শুরু থেকে অল্প অল্প করে গয়নাই কিনে রাখতে হবে আপনাকে? কিংবা সোনার কয়েন লকারে রাখাই ওই ধাতুতে সঞ্চয়ের সেরা মাধ্যম? আমি বলব, বরং কাগুজে সোনার কথা ভাবুন। তা সে বন্ড হোক বা ফান্ড। কারণ? আসুন খতিয়ে দেখি।
দুই ভাগ
সাধারণত, দু’কারণে মানুষ সোনা কেনেন। এক, শখে, বিয়ের জন্য বা উপহারের দরকারে সোনার গয়না। শেষ কারণটির জন্য আবার বার বা কয়েনও কেনেন অনেকে। দুই, সঞ্চয়ের লক্ষ্যে এতে টাকা রাখেন অনেকে।
তাই প্রথমেই দেখে নিতে হবে আপনি ঠিক কী চান? উপহার হিসেবে গয়না কেনার প্রয়োজন থাকলে আলাদা কথা। কিন্তু যদি লগ্নির মাধ্যম হিসেবে এতে টাকা রাখার কথা ভাবেন, তা হলে দেখতে পারেন অন্য পথ। গত কয়েক বছরে সোনাকে কেন্দ্র করে বিভিন্ন প্রকল্প চালু হয়েছে। যেখানে হাতেনাতে সোনা না-কিনেও তা পকেটে আসে! কাগজের মাধ্যমে।
প্রয়োজনের সময়ে সেই কাগজ ভাঙিয়ে আবার সত্যিকারের সোনা কেনা যেতে পারে। এই ধরনের কী কী প্রকল্পে সোনায় টাকা রাখা যায়, তা নিয়েই আজকের আলোচনা।
সরাসরি সোনা
ধরুন, আপনি বাজারে সোনার গয়না কিনতে গেলেন। সে ক্ষেত্রে কমপক্ষে এক গ্রাম সোনার গয়না কিনতে হবে। তার দামই পড়ে যাবে প্রায় ২,৮০০ টাকা। এর পরে রয়েছে মজুরি (যা প্রায় ১০-১৫%) ও জিএসটি। পাকা সোনার ক্ষেত্রেও ১ গ্রাম সোনা কিনতে
হবে। তার উপরে বসবে জিএসটি। অর্থাৎ, প্রতি ক্ষেত্রেই কমপক্ষে ৩,০০০ টাকা লগ্নি করতে হচ্ছে। তার কমে সোনা হাতে পাবেন না।
এ বার সেই সোনা কেনার পরে, ভাবতে হবে তা রাখবেন কোথায়? বাড়িতে রাখলে চুরি যাওয়ার ভয়। আবার ব্যাঙ্কের লকারে রাখলে দিতে হবে ভাড়া। শুধু তা-ই নয়। সেই সোনা ভাঙাতে গেলেও ঝক্কি কম নয়। কারণ, ব্যাঙ্ক থেকে সোনার বার বা কয়েন কিনলেও, সেখানে তা ভাঙানো যায় না। ফলে যেতে হবে কোনও সোনার দোকানে। আর গয়নার ক্ষেত্রে সোনার দামের থেকে মজুরি তো বাদ যাবেই, তার সঙ্গে খাদ থাকলে, তা-ও দাম থেকে বাদ যাবে। অর্থাৎ যত টাকা ঢালতে হয়েছিল, দেখা যাবে তার তুলনায় রিটার্ন মনোমতো হয়নি।
আবার সোনা যদি বহু বছর আগে কিনে থাকেন, তা হলে আলাদা কথা। নইলে ছ’সাত বছরের হিসেব দেখলে বোঝা যাবে, ধাতুটির দামে খুব বেশি হেরফের হয়নি। বরং দাম মাঝে যতটা বেড়েছিল, তার চেয়ে নেমেছে। ফলে ২০১১ সালে কেনা সোনা এখন বিক্রি
করে বিশাল লাভের সম্ভাবনা কম।
কিন্তু তা হলে সোনায় টাকা ঢালার কথা বলছি কেন? কারণ, দীর্ঘ মেয়াদে কিন্তু সোনা চট করে ডোবায় না। বরং তার দাম বাড়ে প্রায় নিশ্চিত ভাবে। ২০০০ সালে যেখানে সোনা ৪-৫ হাজারের ঘরে ঘোরাঘুরি করত, সেখানে এখন তা (প্রতি ১০ গ্রাম পাকা সোনা) ২৯ হাজার ছুঁইছুঁই।
শুধু তা-ই নয়, শেয়ার বা ডলারের দাম যখন পড়তে থাকে, তখন ঢাল হয়ে দাঁড়াতে পারে সোনা। তাই অনেকে একে দেখেন লগ্নির সুরক্ষাকবচ হিসেবে। সুতরাং, পুরো টাকা সোনায় ঢালুন, তা কখনও বলব না। কিন্তু লগ্নির পোর্টফোলিও থেকে তাকে একে বারে বাদ দিয়ে রাখাও কাজের কথা নয়।
অন্য রাস্তা
আগেই বলেছি, গত কয়েক বছরে সোনাকে কেন্দ্র করে বাজারে এসেছে নানা প্রকল্প। এর মধ্যে রয়েছে গোল্ড বন্ড, গোল্ড মিউচুয়াল ফান্ড, গোল্ড ইটিএফ ইত্যাদি। এই প্রকল্পগুলির প্রত্যেকটিতেই সরাসরি সোনা কিনেও টাকা ঢালা যায়। এখানে লগ্নি নিয়ে আলোচনার সময়ে ওই তিনটি প্রকল্প নিয়েই বিস্তারিত আলোচনা করব।
গোল্ড বন্ড কী?
সরাসরি না-কিনে, এই প্রকল্পে ঘরে আসবে কাগুজে সোনা। বন্ড বা ঋণপত্র কেনার মাধ্যমে।
অর্থাৎ ধরুন লগ্নির জন্য ২০ গ্রাম সোনা কিনতে চান। কিন্তু এ ক্ষেত্রে তা না-করে ২০ গ্রাম সোনার দাম গুনেই বন্ড কেনা যাবে। এতে সুদ মিলবে। আবার সোনার দাম বাড়লে, বাড়তি লাভও হবে। তবে এই প্রকল্প শুধু ভারতীয় নাগরিক ও সংস্থার জন্য।
সুবিধা
• সোনা কিনে বাড়িতে রাখার ঝুঁকি বা লকারে রাখার ঝক্কি এখানে নেই।
• গুনতে হবে না লকার ভাড়াও।
• অনেক বেশি সুরক্ষিত। গয়না বা পাকা সোনা চুরির ভয় এতে নেই।
• এক বার নথিভুক্তির পরে এই বন্ড লেনদেন করা যাবে শেয়ার বাজারেও।
• বন্ড ভাঙানোর সময়ে সুদ তো মিলবেই, তখন সোনার দাম বাড়লে বাড়তি মুনাফাও হবে লগ্নিকারীর।
মূল কথা
• বন্ড কেনাবেচার ক্ষেত্রে ইন্ডিয়া বুলিয়ন অ্যান্ড জুয়েলার্স অ্যাসো-সিয়েশনের ঘোষিত দাম গ্রাহ্য হবে।
• তবে সেই দাম প্রযোজ্য হবে যাঁরা ইস্যু চলাকালীন আবেদন করেছেন, তাঁদের জন্য। বাকিদের বাজারের দর মেনেই বন্ড কিনতে-বেচতে হবে।
• ন্যূনতম ১ গ্রাম সোনা কিনতে হবে। অর্থবর্ষে সর্বোচ্চ সীমা ৪ কেজি। তা প্রযোজ্য হবে ব্যক্তি ও অবিভক্ত হিন্দু পরিবারের ক্ষেত্রে। বন্ড বাজারে আসার সময়ে সরাসরি লগ্নিই হোক বা শেয়ার বাজার থেকে কেনাই হোক, সব মিলিয়ে লগ্নির সীমা ৪ কেজি ছাড়ানো চলবে না।
• কেনা যাবে একাধিক নামেও। সে ক্ষেত্রে লগ্নি ধরা হবে প্রথম আবেদনকারীর নামেই।
• ব্যাঙ্কের কাছে এই বন্ড বন্ধক রেখে নেওয়া যাবে ঋণও।
কিনবেন কী ভাবে?
• বন্ড বিক্রি হবে ব্যাঙ্ক ও ডাকঘরে। এ ছাড়াও স্টক হোল্ডিং কর্পোরেশন, ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জ-সহ বড় এক্সচেঞ্জগুলির মাধ্যমেও কেনা যায়।
• জিরো ব্যালেন্স অ্যাকাউন্ট খুলতে জমা দিতে হবে কেওয়াইসি। ঠিকানা ও পরিচয়ের প্রমাণপত্র হিসেবে দিতে হবে আধার, প্যান, পাসপোর্টের ইত্যাদির প্রতিলিপি। লগ্নি করা যাবে জয়েন্ট অ্যাকাউন্টও। নাবালকের নামে টাকা ঢালতে পারবেন অভিভাবক।
• ফর্ম ভরে তা ওই ব্যাঙ্ক অথবা ডাকঘরে জমা দিতে হবে। সেখানেই কতটা সোনা আপনি কিনতে চান, তা-সহ বিভিন্ন তথ্য জানাতে হবে।
• চাইলে ইন্টারনেটেই আবেদন করা যায়। নেটের সুবিধা না-থাকলে, ফোন বা ই-মেলের মাধ্যমে অথবা মিউচুয়াল ফান্ড, শেয়ার ব্রোকারের সাহায্যে প্রকল্পে আবেদন করা যাবে।
• যাঁরা শেয়ার কেনা-বেচা করেন না, অথচ গোল্ড বন্ডে লগ্নি করতে চান, তাঁরা কোনও ব্রোকার সংস্থার মাধ্যমে এই প্রকল্পে লগ্নি করতে পারবেন।
• ওই অ্যাকাউন্টে বন্ড কেনার জন্য জমা দিতে হবে টাকাও।
• বন্ডের জন্য হোল্ডিং সার্টিফিকেট মঞ্জুর করা হবে।
• শেয়ার বাজারে ওই বন্ড লেনদেন করতে চাইলে, তা নিতে হবে ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে।
• ডি-ম্যাটে বন্ড নিতে চাইলে প্রথমেই তা জানিয়ে দিতে হবে। বন্ড সার্টিফিকেট হাতে পাওয়ার পরেও তা ডি-ম্যাট করা যেতে পারে।
• এ জন্য যে কোনও ডিপজিটরি পার্টিসিপেন্ট (ডিপি)-এর কাছে ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে।
মেয়াদ
• আট বছর। তবে ৫ বছর পর থেকেই তা ভাঙানোর সুযোগ থাকবে।
• চাইলে তার আগেও বাজারে সেটি বিক্রি করা যায়। সে ক্ষেত্রে ওই বন্ডের ক্রেতাই হবেন তার নতুন মালিক।
লাভের খতিয়ান
• বছরে ২.৫০% সুদ পাওয়া যায়।
• এই ঋণপত্র এক্সচেঞ্জে লেনদেন হবে। ফলে ভাঙানোর সময়ে তার দাম বাড়লে, সেই লাভ গ্রাহকের।
করছাড়
• গোল্ড বন্ডে পাওয়া সুদ করযোগ্য।
• ব্যক্তির ক্ষেত্রে মেয়াদ শেষে পাওয়া মুনাফায় কোনও মূলধনী লাভকর (ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স) নেই।
• মেয়াদের আগে বন্ড বেচার সময়ে সোনার দাম বাড়লে অবশ্য দিতে হবে মূলধনী লাভকর।
• সে ক্ষেত্রে ৩ বছরের আগে বিক্রি করলে স্বল্পমেয়াদি মূলধনী লাভকর (শর্ট টার্ম ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স), আর তার পরে হলে দীর্ঘমেয়াদি মুলধনী লাভকর (লং টার্ম ক্যাপিটাল গেইন ট্যাক্স) দিতে হবে।
• যদি কোনও ব্যক্তির অন্য সূত্র থেকে আয় না-থাকে অথচ গোল্ড বন্ড থেকে মুনাফা কেন্দ্রের আয়কর ছাড়ের সীমার চেয়ে বেশি হয়, তা হলে তাঁকে নিয়ম মেনে কর জমা দিতে হবে।
গোল্ড ফান্ড
যে সমস্ত মিউচুয়াল ফান্ড মূলত সোনায় লগ্নি করে, তারাই গোল্ড ফান্ড নামে পরিচিত। এদের সুবিধা হল—
• খুব টাকা দিয়ে লগ্নি শুরু করা যায়। সেই অঙ্ক মাসে ৫০০ টাকাও হতে পারে। অর্থাৎ, পাকা বা গয়না সোনার মতো এক সঙ্গে বড় টাকা ঢালা বাধ্যতামূলক নয়।
• পাকা বা গয়না সোনা যেমন এক বার কিনলে বিক্রি করা ঝামেলা। কিন্তু ফান্ড সহজেই কেনা-বেচা করা যায়।
• নির্দিষ্ট সময়ের আগে বিক্রি করলে সাধারণত বাড়তি চার্জ লাগতে পারে। তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তার পরে বিক্রি করলে চার্জ দিতে হয় না।
• বিক্রির পরে মূলধনী লাভকরেও সুবিধা পাওয়া যায় গোল্ড ফান্ডে।
গোল্ড ইটিএফ
রয়েছে গোল্ড ইটিএফ-ও। কাগুজে সোনায় লগ্নির যা অন্যতম ভাল উপায়। চলুন দেখি এর বৈশিষ্ট্য—
• এই ফান্ডে বিনিয়োগ করা টাকা সরাসরি খাটানো হয় সোনায়।
• একটি গোল্ড ইটিএফে যে-তহবিল সংগৃহীত হয়, তাই দিয়ে সংশ্লিষ্ট ফান্ড সোনা কেনে।
• সোনার দামের ওঠা-পড়ার সঙ্গে তাল মিলিয়েই ইউনিটের বাড়ে-কমে।
• প্রথম বার সংস্থার থেকে, পরে শেয়ার বাজারে কিনতে-বেচতে হয়। তাই এতে ডি-ম্যাট অ্যাকাউন্ট লাগে।
• আপনার টাকায় যতটা সোনা কেনা হবে, তার ভিত্তিতেই ইটিএফ ইউনিট পাবেন। সাধারণত প্রতিটি ইউনিট ১ গ্রাম সোনার হয়। তবে তা বদলাতে পারে।
কেন বাড়ে, কখন বাড়ে?
• বিশ্ব জুড়ে চাহিদা বৃদ্ধি অথচ জোগান কম
• উৎসব এবং বিয়ের মরসুম
• টাকার তুলনায় ডলারের দাম বাড়লে
• অর্থনৈতিক অনিশ্চয়তা এবং শেয়ার বাজারের দুর্দিনে
কেন কমে, কখন কমে?
• শেয়ার বাজার চাঙ্গা হলে
• অতিবৃষ্টি অথবা অনাবৃষ্টির কারণে
• লগ্নিকারীদের লাভ ঘরে তোলার তাগিদে
• বিদেশি মুদ্রা বিশেষত ডলারে লগ্নির ঝোঁক বাড়লে
নিক্তি মাপা
২৪ ক্যারাট: নিরেট সোনা। শুদ্ধতা ৯৯.৯ শতাংশ।
২২ ক্যারাট: গয়নার সোনা, যাতে ২২ ভাগ থাকে বিশুদ্ধ সোনা। অর্থাৎ শুদ্ধতা ৯১.৬ শতাংশ।
১৮ ক্যারাট: হিরের গয়না তৈরিতে সাধারণত ব্যবহৃত হয়। সোনা থাকে ১৮ ভাগ, ৬ ভাগ অন্য ধাতু। শুদ্ধতা ৭৫ শতাংশ।
১৪ ক্যারাট: ২২ ক্যারাট সোনার দাম অস্বাভাবিক বেড়ে ওঠায় সম্প্রতি ১৪ ক্যারাট সোনাতেও গয়না তৈরি শুরু হয়েছে।
মনে রাখুন
মনে রাখতে হবে, গোল্ড ইটিএফ এবং গোল্ড ফান্ড এক নয়। বিভিন্ন ফান্ড সংস্থা বাজারে গোল্ড ফান্ড ছাড়ে, যারা সোনা ও তার সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ক্ষেত্রে লগ্নি করে। এরই মধ্যে যারা সরাসরি সোনায় টাকা খাটায় এবং যার ইউনিট স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়, তারাই হল গোল্ড ইটিএফ।
লেখক: ব্যাঙ্ক বাজার ডট কমের সিইও
(মতামত ব্যক্তিগত)
পাঠকের প্রশ্ন
প্রঃ আমি জিএসটি-র হার সম্পর্কে সঠিক তথ্য পাচ্ছি না কোথাও। নতুন ফ্ল্যাট কিনলে কি তাতে জিএসটি দিতে হবে। দিতে হলে কত? পুরনো বাড়ি বিক্রি করলে কি জিএসটি লাগবে? বাস্তু জমির ক্ষেত্রে কি হবে?
অরবিন্দ মিত্র
নতুন ফ্ল্যাট নির্মীয়মাণ অবস্থায় বুক করা বা কেনা হলে ১২% জিএসটি দিতে হবে। অর্থাৎ সেটি তৈরি হওয়ার আগে বুক করা হলে কিংবা কমপ্লিশন সার্টিফিকেট পাওয়ার আগে কেনা হলে। ফ্ল্যাটটি তৈরি ও পুরসভা থেকে কমপ্লিশন সার্টিফিকেট পাওয়ার পরে পুরো টাকা মেটানো হলে কিংবা টাকা মেটানোর পরে হাতে আসলে, সেটির উপরে জিএসটি প্রযোজ্য হবে না।
পুরনো বাড়ি বা জমি কেনাবেচার উপর কোনও জিএসটি বসে না।
পরামর্শদাতা:
তিমির বরণ চট্টোপাধ্যায়
প্রঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের চালু করা পশ্চিমবঙ্গ পরিকাঠামো উন্নয়ন নিগম-এর অধীন সেফ সেভিং স্কিম সম্পর্কে বিশদে জানতে চাই। এই স্কিমে আমানত কতটা নিরাপদ?
দেবাশিস সিংহ, হাওড়া
পশ্চিমবঙ্গ সেফ সেভিংস স্কিম প্রকল্পটি চলতি বছরের ২৯ মে বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সুতরাং এটি সম্পর্কে আর বলার কিছু নেই।
পরামর্শদাতা:
অমিতাভ গুহ সরকার
পরামর্শের জন্য লিখুন:
‘বিষয়’, ব্যবসা বিভাগ,
আনন্দবাজার পত্রিকা,
৬ প্রফুল্ল সরকার স্ট্রিট, কলকাতা, পিন-৭০০০০১।
ই-মেল: bishoy@abp.in
ঠিকানা ও ফোন নম্বর জানাতে ভুলবেন না
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy