এ বার আবাসন বা রিয়েল এস্টেটকে জিএসটি-র আওতায় আনার তোড়জোড় শুরু হয়ে গেল।
বৃহস্পতিবার বসছে জিএসটি পরিষদের বৈঠক। সেখানেই আবাসনকে নতুন কর ব্যবস্থার আওতায় আনার প্রক্রিয়া নিয়ে আলোচনা হবে। এমন নয় বৃহস্পতিবারই এ ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়ে যাবে। তবে প্রাথমিক রূপরেখা তৈরির চেষ্টা হবে বলে ইঙ্গিত।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, আবাসন জিএসটি-র আওতায় চলে এলে তাতে ১২% হারে কর চাপতে পারে। এর সুবিধা হল, জিএসটি মেটানোর সময়ে আবাসন নির্মাণকারী বা প্রোমোটাররা সিমেন্ট, রং, ইস্পাত, স্যানিটারি বা বৈদ্যুতিক উপকরণের মতো কাঁচামালে আগে মেটানো করে ছাড় পাবেন। সম্পত্তি নথিভুক্তি বা রেজিস্ট্রেশন চার্জ, স্ট্যাম্প ডিউটি জিএসটি-র সঙ্গেই মিশে যাবে। তবে পুরসভার সম্পত্তি কর বা প্রপার্টি ট্যাক্স জিএসটি-র সঙ্গে মিশবে না। তা আলাদা ভাবেই দিতে হবে। জমি বিক্রিকেও জিএসটি-র আওতায় আনা হতে পারে। সে ক্ষেত্রেও ফ্ল্যাট-বাড়ি তৈরির জমি কেনায় মেটানো জিএসটি খাতে পরে ছাড় মিলবে।
কিছু দিন আগেই আবাসন শিল্প অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির কাছে রিয়েল এস্টেটকে জিএসটি-র আওতায় আনার দাবি তুলেছিল। সরকারি সূত্রের দাবি, বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলি ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীর, দিল্লিও এর পক্ষে।
পরিষদের আলোচ্যসূচিতে সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় অবশ্য রিটার্ন ফাইলের জটিলতা কমানো। রিটার্নের ৩টি ফর্ম মিশিয়ে একটি করার প্রস্তাব রয়েছে। এখন ব্যবসায়ীদের মাসে তিনটি রিটার্ন ফাইল করতে হয়। প্রস্তাব কার্যকর হলে, একটি রিটার্ন ফাইল করতে হবে। এই সিদ্ধান্ত হলেও নতুন ব্যবস্থা চালু হতে অবশ্য ৬ থেকে ৮ মাস লাগবে। কারণ জিএসটি নেটওয়ার্কে আমূল বদল করতে হবে। রিটার্ন ফাইলের জটিলতা কমলে, কর আদায়ও বাড়বে বলে সরকারের যুক্তি।
নোটিস এইচইউএল-কে: সংবাদ সংস্থার খবর: জিএসটি চালু হওয়ার পরে দাম কমার সুবিধা ক্রেতাকে না দেওয়ায় ভোগ্যপণ্য সংস্থা এইচইউএল-কে নোটিস পাঠাল ডিরেক্টরেট জেনারেল অব সেফগার্ডস। অত্যধিক মুনাফা ঠেকানোর আইনে এ নিয়ে ছ’বার নোটিস পাঠাল তারা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy