—নিজস্ব চিত্র।
বিভিন্ন জেলার মধ্যে বৈষম্য আটকে দিচ্ছে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়ন। বণিকমহলের অভিযোগ, বৃদ্ধির হারকে টেনে নামাচ্ছে কৃষি, শিল্প ও পরিকাঠামোর মাপকাঠিতে পিছিয়ে পড়া জেলাগুলি। রাজ্যের অবশ্য দাবি, দেশের গড় বৃদ্ধির তুলনায় পশ্চিমবঙ্গের হার অনেকটাই ভাল। শিল্প তথা অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র জানান, দেশ জুড়ে শিল্প ও পরিষেবা বৃদ্ধির হার যথাক্রমে ৭.৩ ও ৯.২ শতাংশ। তাঁর দাবি, রাজ্যের ক্ষেত্রে তা ১০.৫৯ শতাংশ ও ১৩.৯৯ শতাংশ।
বণিকমহলের দাবি, রাজ্যের বিপুল সম্ভাবনা বাস্তবায়িত হওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়াচ্ছে কোচবিহার, দার্জিলিং, বাঁকুড়ার মতো অনগ্রসর জেলা। সমস্যার সমাধানসূত্র হিসেবে উঠে এসেছে ডিস্ট্রিক্ট ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেন্টার বা জেলা শিল্প-কেন্দ্রের আরও সক্রিয় ভূমিকার কথা। বৃহস্পতিবার বণিকসভা অ্যাসোচ্যামের অনুষ্ঠানে পশ্চিমবঙ্গের পিছিয়ে পড়া অঞ্চল নিয়ে একটি রিপোর্ট প্রকাশ হয়। কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর ও বাঁকুড়া সবচেয়ে অনগ্রসর জেলা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। কৃষি, শিল্প, রাস্তাঘাট, স্কুল ও স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে তৈরি হয়েছে উন্নয়নের সার্বিক সূচক। এই মাপকাঠিতে নম্বর বিশেষ তুলতে পারেনি পাঁচটি জেলা।
তির বণিকমহলের
অনগ্রসর জেলার তালিকায় কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি, উত্তর দিনাজপুর, বাঁকুড়া
কৃষি, শিল্প, রাস্তা তৈরি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্য পরিষেবায় নম্বর পায়নি এই পাঁচ জেলা
জেলা শিল্প কেন্দ্রকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে আর্জি অমিতের দাবি
দেশের গড়ের তুলনায় বৃদ্ধিতে এগিয়ে পশ্চিমবঙ্গ
তবে বর্ধমান, পূর্ব মেদিনীপুর, হাওড়া ও কলকাতা ছাড়া অন্য সব জেলারই মলিন ছবি ফুটে উঠেছে। যেমন, রাজ্যে গড়ে প্রতি ১০ বর্গ কিমিতে রয়েছে দু’টি স্বাস্থ্যকেন্দ্র। কিন্তু উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর, কোচবিহার, দার্জিলিং, জলপাইগুড়ি-সহ ৯টি জেলায় এই হিসেব মেলে না। একই ভাবে কোচবিহার, দার্জিলিং ও জলপাইগুড়িতে রাস্তা তৈরির হার কমেছে। এ দিনের অনুষ্ঠানে অমিতবাবুর অবশ্য দাবি, গত ছ’বছরে ১২,৫০০ কিমি গ্রামীণ রাস্তা তৈরি হয়েছে, ১২,৪০০ কিমি রাজ্য সড়ক।
দেশের গড়ের তুলনায় রাজ্যে বৃদ্ধি হার ভাল বলে দাবি করে অমিতবাবু জানান, রাসায়নিক, চর্ম ও গয়না শিল্পে বিনিয়োগকারীরা পুঁজি ঢালতে প্রস্তুত। আগামী মাসে মুম্বইয়ের গয়না শিল্পের ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদল এ রাজ্যে আসছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy