নেটওয়ার্ক যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষামূলক ভাবে মোবাইল পরিষেবা দেওয়ার সময়ে কোনও সংস্থা কী করতে পারবে বা পারবে না, সে বিষয়ে একগুচ্ছ সুপারিশ পেশ করল ট্রাই।
টেলিকম নিয়ন্ত্রক মনে করে, বাণিজ্যিক ভাবে পুরোদমে পরিষেবা চালুর আগে অবশ্যই তা পরীক্ষা করে দেখা জরুরি। কিন্তু কত জনকে কত দিনের জন্য তার আওতায় রাখা যাবে, তার ঊর্ধ্বসীমা থাকা প্রয়োজন। যেমন, কোনও সার্কেলে তা ওই সংস্থার পরিষেবা দেওয়ার মোট ক্ষমতার ৫ শতাংশের বেশি হওয়া উচিত নয়। সময়সীমাও হওয়া উচিত ৯০ দিন। বলা হয়েছে গ্রাহককে বাণিজ্যিক ভাবে পরিষেবা চালুর দিনক্ষণ আগাম জানানোর কথাও।
রিলায়্যান্স জিও পরীক্ষামূলক ভাবে মোবাইল পরিষেবা দেওয়াকালীন এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা হয়েছিল বিস্তর। প্রতিযোগী সংস্থাগুলির অভিযোগ ছিল, এ নিয়ে নির্দিষ্ট নিয়ম সে ভাবে না-থাকায় তার সুবিধা নিয়েছে জিও। পরীক্ষামূলক ভাবে মোবাইল পরিষেবা দেওয়ার সময়েই সংযোগ দিয়েছে ১৫ লক্ষ গ্রাহককে। নিখরচায় দিনে ১জিবি নেট ব্যবহারের ‘প্রকল্প’ থেকে শুরু করে দিয়েছে বিভিন্ন রকম সুবিধা। অনেকে বলছেন, সেই বিতর্ক মাথায় রেখেই সোমবার ট্রাইয়ের এই সুপারিশ। যদিও তাতে সংশ্লিষ্ট শিল্পের অনেকের প্রশ্ন, তবে কি পরিষেবা চালুর আগে বাড়তি সুবিধা পেয়েছে জিও?
• পরীক্ষামূলক পরিষেবা দেওয়া যাবে ৯০ দিন পর্যন্ত। বাড়াতে চাইলে ফের নিতে হবে অনুমতি
• কোনও সার্কেলে যত জনকে পরিষেবা দেওয়ার ক্ষমতা, পরীক্ষায় সামিল করা যাবে তার ৫% পর্যন্ত
• নেটওয়ার্ক পরীক্ষা শুরুর আগে নিজেদের পরিষেবা দেওয়ার ক্ষমতা টেলিকম দফতর ও ট্রাই-কে জানাতে হবে ১৫ দিন সময় থাকতেই
• ওই সময়ে নম্বর একই রেখে অন্য সংস্থার গ্রাহক নেওয়া (নম্বর পোর্টেবিলিটি) চলবে না
• গ্রাহককে বাণিজ্যিক ভাবে পরিষেবা চালুর দিনক্ষণ জানাতে হবে
• কোন কোন মাসুল তখন নেওয়া হচ্ছে না, স্পষ্ট করতে হবে সে কথাও
টেলি সংস্থাগুলির সংগঠন সিওএআই-এর ডিজি রাজেন ম্যাথুজের প্রশ্ন, ‘‘যা পরিস্থিতি, তাতে এখন আর নতুন করে বেশ কয়েকটি পরিষেবা সংস্থার বাজারে পা রাখার সম্ভাবনা কম। তাই এই নিয়ম আর একটু আগে তৈরি করা যেত না কি?’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy