Advertisement
২০ এপ্রিল ২০২৪

আধার লাগবেই তা নয়, তবু জারি হয়রানি

কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (ডট) মোবাইলের সিম বা নেট পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় ডঙ্গল কিনতে একগুচ্ছ পরিচয়পত্র ও ঠিকানার প্রমাণকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। অথচ গ্রাহকের অভিযোগ, বাস্তবে আধার না দিলে দোকান সেগুলি বিক্রিই করছেন না। ফলে ভুগছেন গ্রাহকরা।

দেবপ্রিয় সেনগুপ্ত
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ এপ্রিল ২০১৮ ০৩:৫৬
Share: Save:

আধার দিলে চলবে। তবে সরকার স্বীকৃত অন্য নথি থাকলে, মোবাইলের সংযোগ পাওয়ার জন্য তা যে দিতেই হবে, এমন কোনও নিয়ম নেই। কারণ, কেন্দ্রীয় টেলিকম দফতর (ডট) মোবাইলের সিম বা নেট পরিষেবার জন্য প্রয়োজনীয় ডঙ্গল কিনতে একগুচ্ছ পরিচয়পত্র ও ঠিকানার প্রমাণকেও স্বীকৃতি দিয়েছে। অথচ গ্রাহকের অভিযোগ, বাস্তবে আধার না দিলে দোকান সেগুলি বিক্রিই করছেন না। ফলে ভুগছেন গ্রাহকরা।

টেলিকম সংস্থাগুলিও জানাচ্ছে, আধারই একমাত্র গ্রহণযোগ্য নথি নয়। এই শিল্পের সংগঠন সিওএআইয়ের ডিজি রাজন ম্যাথুজ বলেন, ‘‘ডট স্বীকৃত অন্যান্য নথিপত্র দিয়েও সংযোগ নেওয়া যায়। তবে আধার দিয়ে ই-কেওয়াইসি পদ্ধতিতে তথ্যগুলি যাচাই করতে পারে সংস্থা।’’

গ্রাহকদের অবশ্য অভিযোগ, বিষয়টি ঘিরে ধোঁয়াশা বিস্তর। এমনকী বহু সংস্থার প্রতিনিধিরাও বলছেন, ‘‘আধার দিতে বলেছে ট্রাই।’’ যদিও গোটা বিষয়টি ডটের এক্তিয়ারভুক্ত।

চলবে এ সবেও

সচিত্র পরিচয়: পাসপোর্ট, ভোটার কার্ড, ড্রাইভিং লাইসেন্স, প্যান কার্ড, ছবি-সহ ক্রেডিট কার্ড, সরকারি পরিচয়পত্র, আর্মস লাইসেন্স, আধার কার্ড ইত্যাদি

ঠিকানার প্রমাণ: পাসপোর্ট, আর্মস লাইসেন্স, ড্রাইভিং লাইসেন্স, ভোটার কার্ড, বিদ্যুৎ বিল, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, তিন মাসের কম পুরনো নয় এমন জল বা টেলিফোন বিল, ক্রেডিট কার্ডের স্টেটমেন্ট ইত্যাদি

এ ছাড়া

• কেওয়াইসি পদ্ধতিতে আধারের মাধ্যমে সংযোগ নেওয়ার বাড়তি সুবিধার কথা আছে ডটের সাইটে

• জম্মু-কাশ্মীর, অসম, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের পরিষেবা এলাকায় কিছু নথিপত্র এক। কয়েকটি আবার আলাদা

ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের মতো মোবাইল সংযোগেও কেওয়াইসি ব্যবস্থায় গ্রাহকের একটি সচিত্র পরিচয়পত্র ও ঠিকানার প্রমাণ জরুরি। সেই সব স্বীকৃত নথির তালিকা আছে ডটের ওয়েবসাইটে। তবুও বিক্রেতারা শুধু আধার চায়। কারণ দু’টি—

এক, সিম নিয়ে জালিয়াতি ও সে জন্য সুরক্ষা বিঘ্নিত হওয়া নিয়ে এক জনস্বার্থ মামলায় ডটের আর্জি মেনে সিমের তথ্য গ্রাহকের আধার নম্বরের ভিত্তিতে যাচাইয়ের জন্য সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ। দুই, দ্রুত গ্রাহক টানার লড়াই। ই-কেয়াইসি পদ্ধতিতে আধার দিয়ে সংযোগ নিলে কিছুক্ষণেই তা চালু হয়। কিন্তু অন্য নথি পরীক্ষার ক্ষেত্রে দু’তিন দিন লাগে। ভোডাফোন, এয়ারটেলের দাবি, তারা অন্য স্বীকৃত নথির ভিত্তিতেও সংযোগ দেয়। তবে জিয়ো ও আইডিয়া এই অভিযোগ নিয়ে মুখ খোলেনি।

এ দিকে, সুপ্রিম কোর্ট আধার তথ্য যাচাইয়ের সময়সীমা অনির্দিষ্টকালের জন্য বাড়ালেও, সংস্থাগুলি এ জন্য অনবরত ফোন করছে বা এসএমএস পাঠাচ্ছে বলে অভিযোগ গ্রাহকদের।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE