আধার নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছে। এ বার রান্নার গ্যাস গ্রাহকদের একাংশের মাথাব্যথা ‘কেওয়াইসি’।
অভিযোগ, আগের মাসে অনেকে গ্যাস সিলিন্ডার বুক করলেও চলতি মাসে তা বাতিলের এমএমএস এসেছে। গ্যাসের দোকান জানিয়েছে, কেওয়াইসি-র নথিপত্র বা আধার নম্বর (দু’টির মধ্যে একটি) জমা না দেওয়া পর্যন্ত গ্যাস সংযোগ সাময়িক বন্ধ থাকবে। অথচ আগেই তা জমা দেওয়া হয়েছে বলে দাবি ওই গ্রাহকদের। অনেকে প্রাপ্য ভর্তুকিও পেয়েছেন। তাই তাঁদের প্রশ্ন, কেওয়াইসি না থাকলে এত দিন সিলিন্ডার মিলল কী করে? নাকি এ ভাবে ঘুরিয়ে আধার চাওয়ার পথ প্রশস্ত করছে কেন্দ্র?
তেল সংস্থাগুলির অবশ্য দাবি, ভুয়ো গ্রাহক ধরতে ফের কিছু ক্ষেত্রে কেওয়াইসি বা আধার তথ্য যাচাই করা হচ্ছে। গ্রাহকদের অনাবশ্যক হয়রান করা এর উদ্দেশ্য নয়।
ইউপিএ জমানায় আধার নম্বরের মাধ্যমে বছরে ১২টি ভর্তুকির সিলিন্ডার দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু হয়। কিন্তু অনেকের তখন আধার না থাকায় ঠিক হয়, কেওয়াইসি ও ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথির ভিত্তিতেই অ্যাকাউন্টে ভর্তুকি জমা পড়বে। বছরখানেক আগে শুধু আধারের ভিত্তিতে তা দেওয়ার প্রক্রিয়া চালু হয়।
সম্প্রতি এটিকে কেন্দ্র করে ফের গ্রাহক হয়রানির অভিযোগ উঠছে। যেমন, বেহালার বাসিন্দা বিশ্বভূষণ মজুমদার ডিসেম্বর শেষে গ্যাস বুক করে এ মাসে এসএমএস পান, বুকিং বাতিল। খোঁজ নিয়ে কেওয়াইসি জমা না থাকার কথা জানতে পারেন। তাঁর দাবি, এর আগে তিনি নথি জমা দিয়ে অ্যাকাউন্টে ভর্তুকি পেয়েছেন। তাঁর ডিস্ট্রিবিউটর তথা ইন্ডেনের ডিলার সংগঠনের কর্তা বিজনবিহারী বিশ্বাসের দাবি, তাঁরও একই অবস্থা। তাঁর আর এক গ্রাহকও কেওয়াইসি দিয়ে একটি থেকে বাড়িয়ে দু’টি সিলিন্ডারের জন্য আবেদন করেন। তা মঞ্জুর হয়েছে। কিন্তু তারপরও তাঁর সংযোগ সাময়িক ভাবে বন্ধ করা হয়।
তেল সংস্থাগুলির দাবি, দেশে প্রায় এক লক্ষ গ্রাহকের মধ্যে সমীক্ষা চালিয়ে দেখা গিয়েছে, অনেকেরই ঠিক পরিচয় বা ঠিকানা নেই। তেল মন্ত্রকের আশঙ্কা, এ ভাবে কম দামে গৃহস্থালির সিলিন্ডার কিনে বেশি দামি বাণিজ্যিক সিলিন্ডারের বদলে ব্যবহার করা হচ্ছে। তাই সঠিক গ্রাহক যাচাই ফের শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy