Advertisement
২৪ এপ্রিল ২০২৪

চর্মশিল্পে হাজার কোটি বিনিয়োগের প্রতিশ্রুতি পেল রাজ্য

উত্তরপ্রদেশে সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে অধিকাংশ কসাইখানা বন্ধ। কাঁচামালের টানে কাজ বন্ধ ৩০০-র বেশি ট্যানারিতে। তাই ব্যবসা বাঁচাতে এ বার পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক ভাবে ১,০০০ কোটি টাকা লগ্নির প্রতিশ্রুতি দিল ২০টি সংস্থা।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২১ মে ২০১৭ ০৩:৩৫
Share: Save:

উত্তরপ্রদেশে সরকারি নিষেধাজ্ঞার জেরে অধিকাংশ কসাইখানা বন্ধ। কাঁচামালের টানে কাজ বন্ধ ৩০০-র বেশি ট্যানারিতে। তাই ব্যবসা বাঁচাতে এ বার পশ্চিমবঙ্গে প্রাথমিক ভাবে ১,০০০ কোটি টাকা লগ্নির প্রতিশ্রুতি দিল ২০টি সংস্থা।

শনিবার ওই রাজ্যের তথা দেশের প্রথম সারির বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সঙ্গে নবান্নে বৈঠকে বসেন শিল্পমন্ত্রী অমিত মিত্র ও শিল্প সচিব রাজীব সিন্‌হা। অমিতবাবুর দাবি, ‘‘২০টি সংস্থা প্রাথমিক ভাবে হাজার কোটি টাকা লগ্নি করবে বলে জানিয়েছে। এতে প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থান হবে ৬,০০০। উত্তরপ্রদেশ, চেন্নাই থেকে বিভিন্ন বড় সংস্থা এসেছে।’’

লেদার এক্সপোর্ট কাউন্সিলের পূর্বাঞ্চলীয় কর্তা রমেশ জুনেজা বলেন, ‘‘এই সংস্থাগুলি এলে এখানে উৎপাদন বাড়বে। সেই সঙ্গে বাড়বে রফতানিও।’’ চর্মশিল্প সূত্রে খবর, লগ্নির জন্য রাজ্যের কাছে বানতলায় ৫০ একর মতো জমি চেয়েছে সংস্থাগুলি। তা দিতে প্রাথমিক ভাবে সম্মতিও দিয়েছে রাজ্য সরকার।

চর্মশিল্পে উত্তরপ্রদেশের লগ্নি এ রাজ্যে টানতে কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। তারও আগে এখানে কারখানা করতে আগ্রহ দেখিয়েছে ওই সংস্থাগুলি। যার অন্যতম প্রধান কারণ, কাঁচামালের সরবরাহ। সেই সূত্রেই এই বৈঠক। এর আগেও জুনেজার দাবি ছিল, বেশ কয়েকটি বড় ট্যানারি এ রাজ্যে পা রাখতে চায়। তারা ট্যানারি চালু করতে আগ্রহী।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে খবর, রাজ্যে লগ্নিতে আগ্রহী এই সব সংস্থার মোট ব্যবসার পরিমাণ প্রায় ২,৫০০ কোটি টাকা। জমি ও সংশ্লিষ্ট ছাড়পত্র পেলে, শীঘ্রই এই লগ্নি পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারে বলে মনে করছে চর্মশিল্প মহল। লগ্নিতে আগ্রহী চর্ম ব্যবসায়ীরা এ কারখানা গড়তে চান রাজ্যের একমাত্র চর্মনগরী বানতলায়। সেখানে আপাতত ২০২ একর জমিতে ৩৩২টি কারখানা রয়েছে। এ ছাড়া, ১৩০ একর জমিতে জুতোর পার্ক তৈরি হওয়ার কথা। পরিকল্পনা রয়েছে, আরও ১১০ একরে অন্যান্য চামড়ার জিনিসের পার্ক গড়ারও।

উত্তরপ্রদেশে কসাইখানা বন্ধ হওয়ায় ঝাঁপ ফেলেছে একের পর এক ট্যানারি। কাঁচামালের টানে ব্যবসা লাটে ওঠার জোগাড় কানপুরের অধিকাংশ চর্ম ব্যবসায়ীর। একই হাল উন্নাও, বানথেরের ট্যানারিরও। কাঁচামালের জোগান থাকায় তাই পশ্চিমবঙ্গকেই গন্তব্য বাছছে তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Tannery Industry Tannery West Bengal
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE