আগামী ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালুর বিষয়ে পশ্চিমবঙ্গ এখনও রাজি নয়। কিন্তু তা সত্ত্বেও লক্ষ্য মেনে ওই দিন থেকে জিএসটি চালুর বিষয়ে একবগ্গা কেন্দ্র। তাদের ধারণা, ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালু করতে না-পারলে, বিপুল আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়তে হবে রাজ্যকে। তাই শেষমেশ সম্ভবত তা মেনেই নেবে তারা। কিন্তু বৃহস্পতিবারই আবার তারকেশ্বরে প্রশাসনিক বৈঠকে এ নিয়ে ফের ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। বলেছেন জিএসটি নিয়ে কেন্দ্রের জোরাজুরির কথা।
এ দিন দিল্লিতে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি বলেন, জিএসটি সংক্রান্ত যাবতীয় বিষয়ে এখনও পর্যন্ত ঐকমত্য বজায় রাখা হয়েছে। তাঁর দাবি, সম্প্রতি শ্রীনগরে জিএসটি পর্ষদের বৈঠকে প্রায় সমস্ত রাজ্যের মন্ত্রীরা তাঁকে ১ জুলাই থেকে জিএসটি চালুর কথা বলেছেন। তাঁর দাবি, ‘‘জিএসটি চালু করার জন্য আমরা প্রস্তুত।’’ যদিও অনেকের প্রশ্ন, প্রায় মানে কি সকলে তৈরি নন?
এই দিন চাপিয়ে দেওয়া নিয়ে যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কতটা ক্ষুব্ধ, তা ফের ফুটে উঠেছে তাঁর কথায়। এ দিন তারকেশ্বরে তাঁর সামনে জিএসটির প্রসঙ্গ তোলেন ডি আই পাইপের এক কর্তা। তাঁর অভিযোগ, নতুন জিএসটি চালু হলে তাঁদের উপর করের বোঝা বাড়বে। তা ছাড়া, ১ জুলাই থেকে তা চালুর জন্যও তাঁরা তৈরি নন। সঙ্গে সঙ্গে মমতার জবাব, ‘‘জিএসটি নিয়ে বারবার কেন্দ্রকে বলেছি। এ বার স্ট্রং (কড়া) চিঠি দেব। অমিত মিত্র আগেও বলেছেন। ওরা তাঁর কথা শুনছে না।’’ তাঁর পরামর্শ, ‘‘এ নিয়ে তোমরা এককাট্টা হও। সঙ্গে আছি।’’
কিন্তু রাজ্য যা-ই বলুক, দিল্লি যে জিএসটির দিন পিছোতে রাজি নয়, তা মোটামুটি স্পষ্ট। অর্থ মন্ত্রকের এক কর্তা জানান, বিষয়টি নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে অর্থমন্ত্রীর কথা হয়েছে। কোনও অবস্থাতেই জিএসটি চালুর দিন পিছোতে চাইছে না কেন্দ্র। শনিবার জিএসটি পরিষদের বৈঠকে এ নিয়ে কথাও হবে। মুখ্য আর্থিক উপদেষ্টা অরবিন্দ সুব্রহ্মণ্যনের মতেও, জিএসটি চালু হলে করের বোঝা কমবে। চাঙ্গা হতে পারে অর্থনীতি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy