তিন ডিরেক্টর পদের একটি ফাঁকা প্রায় মাস ছয়েক ধরে। অবসর নেওয়ার কারণে শনিবার থেকে খালি হয়ে গেল আরও দু’টি গুরুত্বপূর্ণ ডিরেক্টর পদ। বিদ্যুৎ ভবন সূত্রে খবর, ওই তিন পদে কাদের দায়িত্ব দেওয়া হবে, তা ঠিক হয়নি এখনও। ফলে পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন সংস্থা এখন কিছুটা যেন অভিভাবকহীন। বিদ্যুৎ কর্তাদের একাংশ জানাচ্ছেন, সংস্থার জন্মলগ্ন থেকে এমন পরিস্থিতি কখনও তৈরি হয়নি।
ছ’মাস ধরেই যে পদ খালি ছিল, তা হল— ডিরেক্টর (জেনারেশন বা উৎপাদন)। অবসরের কারণে এখন খালি হয়ে গেল ডিরেক্টর (ডিস্ট্রিবিউশন বা বণ্টন) এবং ডিরেক্টর (প্রোজেক্ট বা প্রকল্প) পদও। অথচ বিদ্যুৎ উৎপাদন, বণ্টন ও বিভিন্ন চালু প্রকল্পের দৈনন্দিন কাজের গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নিতে হয় ওই তিন ডিরেক্টরকেই। যে কোনও সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎ সংস্থায় ওই তিন পদ মূল স্তম্ভের মতো কাজ করে। অনেকটাই নির্ভর করে ব্যবসার ভাল-মন্দ। অথচ এ দিন থেকে ওই তিন পদেই কেউ থাকছেন না।
বিদ্যুৎ ভবনের অনেকে বলছেন, পদের গুরুত্ব বুঝে সাধারণত সেগুলির জন্য আগেভাগে পরবর্তী কর্তার নাম ঠিক করে রাখা হয়। কিন্তু এ বার তা ঘটেনি। আপাতত বণ্টন সংস্থার চেয়ারম্যান রাজেশ পাণ্ডেকেই বণ্টন ডিরেক্টরের অতিরিক্ত দায়িত্ব নিতে হবে। এমনিতেই তাঁকে চেয়ারম্যানের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিদ্যুৎ সংবহন সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরের দায়িত্বও সামলাতে হয়। প্রায় দেড় বছর ওই পদেও কাউকে নিয়োগ করা হয়নি। তাই এখন এই বাড়তি দায়িত্ব সামলানো তাঁর পক্ষে আরও কঠিন হয়ে দাঁড়াবে কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে বিভিন্ন মহলে।
বিদ্যুৎ ভবনের এক কর্তার কথায়, চেয়ারম্যান মাথার উপরে থাকলেও ওই তিন ডিরেক্টর পদে কেউ না-থাকা মানে বণ্টন সংস্থার যে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে দেরি হবে। আর তাতে ক্ষতি
হবে সংস্থারই।
সংশ্লিষ্ট সূত্রের খবর, তিন ডিরেক্টর পদের জন্যই লোক খোঁজা হচ্ছে। এ জন্য কাগজে বিজ্ঞাপনও দেওয়া হয়েছে। কিন্তু নিয়োগ প্রক্রিয়া তার বেশি এখনও এগোয়নি। শনিবারই উৎপাদন ও প্রকল্প ডিরেক্টরের অতিরিক্ত দায়িত্ব অন্য দুই কর্তাকে দেওয়া হয়েছে। ফলে অনেকের প্রশ্ন, নতুন কাউকে যখন বাছা হয়নি, তখন পুরনোদেরই সাময়িক মেয়াদ বৃদ্ধি করা হল না কেন? এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে, কর্তৃপক্ষ অবশ্য মুখ খোলেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy