ফাইল চিত্র।
ঋণে জেরবার এয়ার ইন্ডিয়া (এআই) কিনতে আদৌ কেউ উৎসাহ দেখাচ্ছে কি না, সেই সন্দেহ দানা বেঁধেছিল কেন্দ্র আগ্রহপত্র জমার তারিখ পিছনোর পরেই। মঙ্গলবার তা আরও জমাট বাঁধল রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থাটি বিক্রি নিয়ে কেন্দ্রীয় বিমান পরিবহণ সচিব আর এন চৌবের বার্তায়। যেখানে তিনি স্পষ্ট বললেন, এআই বিক্রি করা বা না করার অধিকার আছে কেন্দ্রের। ফলে প্রস্তাবিত দর যথেষ্ট বলে মনে না হলে, তাঁরা শেয়ার বেচার সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে আসতে পারেন।
মার্চে সংস্থাটির ৭৬% শেয়ার বিক্রির কথা ঘোষণা করে কেন্দ্র বলেছিল, ইচ্ছুক এক বা একাধিক সংস্থার জোটকে ১৪ মে-র মধ্যে আগ্রহপত্র জমা দিতে হবে। যা খতিয়ে দেখে ২৮ মে-র মধ্যে ঘোষণা হবে নাম। বাজারে এখন এআইয়ের ৫০ হাজার কোটি টাকা ধার। যে কারণে তখনই প্রশ্ন ওঠে, কেন্দ্র চাইলেও সংস্থা কিনতে আদৌ কেউ আগ্রহী হবে কি?
সন্দেহ আরও পাকা করে এ মাসের গোড়ায় কেন্দ্র জানায় আগ্রহপত্র জমার সময় ৩১ মে পর্যন্ত বাড়ানোর কথা। নাম ঘোষণার দিনও পিছিয়ে করা হয় ১৫ জুন। অনেকেই তখন ফের বলতে শুরু করেন, তা হলে কি এত টাকাপয়সা খরচ করে এমন এক ধারে জর্জরিত সংস্থাকে কিনতে কেউ রাজি হচ্ছে না! যে কারণে বাধ্য হয়ে পেছনো হচ্ছে সময়সীমা!
এ দিন যদিও চৌবের দাবি, সংস্থার শেয়ার বিক্রি করে আশানুরূপ টাকা মিলবে। তিনি জানান, ৩১ মে-র মধ্যে আগ্রহপত্র জমা পড়ার পরে, কে সেই শেয়ার কিনছে তা জানা যাবে অগস্টের শেষে। এই অবস্থায় সংশ্লিষ্ট মহল নতুন করে প্রশ্ন তুলেছে, চলতি মাস শেষের আগেও ক্রেতা না মিললে আগ্রহপত্র দাখিলের সময় কি আবার বাড়ানো হবে? যদিও চৌবে বলছেন, এআই বিলগ্নিকরণের প্রক্রিয়া চলতি বছরেই শেষ করতে চায় কেন্দ্র। তবে একই সঙ্গে বিমান পরিবহণ সচিবের দাবি, সংস্থাটির জন্য কোন দর ঠিক, তা নিয়ে শেষ কথা বলবেন তাঁরাই।
এআই বিক্রির ব্যাপারে সংস্থার কর্মীদের আপত্তিও উড়িয়েছেন চৌবে। বলেছেন, সারা বিশ্বে সরকারি বিমান সংস্থাগুলি বেসরকারিকরণের পরে যে ভাল মুনাফা করছে, সে কথা আশা করি জানেন সংস্থার কর্মীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy