ছবি: সংগৃহীত।
বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থা ডব্লিউটিও-র বাছাই করা কিছু সদস্য দেশকে নিয়ে মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক ফেব্রুয়ারিতেই ডাকার কথা ফের জানালেন কেন্দ্রীয় বাণিজ্যমন্ত্রী সুরেশ প্রভু। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের নিয়ম আরও সরল ও স্বচ্ছ করতেই এই বৈঠক জরুরি বলে তাঁর দাবি। খাদ্যে ভর্তুকি ও গণবণ্টন ব্যবস্থা বহাল রাখার প্রশ্নেও সমাধানসূত্র খোঁজা হবে এই বৈঠকে।
প্রায় ৪০টি দেশের বৈঠকে যোগ দেওয়ার কথা। উন্নত দুনিয়ার প্রতিনিধিরা যেমন থাকবেন, তেমনই উন্নয়নশীল বিশ্বের বেশ কিছু দেশও বৈঠকে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ডিসেম্বরে আর্জেন্তিনার রাজধানী বুয়েনস এয়ারেসে উন্নয়নশীল দেশে দরিদ্রদের জন্য খাদ্যে ভর্তুকি বহাল রাখা নিয়ে মতৈক্য না-হওয়ায় ভেস্তে যায় ডব্লিউটিও-র একাদশ মন্ত্রী পর্যায়ের পূর্ণাঙ্গ বৈঠক। সেখানে বিষয়টির পাকাপোক্ত সমাধান চেয়েছিল ভারত। কিন্তু উন্নয়নশীল দেশে গরিবদের স্বার্থে খাদ্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল রাখার প্রশ্নে অন্যান্য বৈঠকের মতোই মূলত আমেরিকা বেঁকে বসায় অধরাই থেকে যায় সন্ধি। আমেরিকার অভিযোগ, এর ফলে মার খাচ্ছে অবাধ আন্তর্জাতিক বাণিজ্য। মতের মিল রয়েছে, এমন কিছু রাষ্ট্রকে এ বার ভারতে বৈঠকে ডেকে বিষয়টি এগিয়ে নিয়ে যেতে চান প্রভু।
তবে তাঁর দাবি, বৈঠক ভেস্তে যাওয়ার জন্য ভারতের ঘাড়ে দোষ চাপাতে পারেনি আমেরিকা। প্রভুর দাবি, সাম্প্রতিক ইতিহাসে প্রথম ভারতের দিকে সরাসরি অভিযোগ করতে পারেনি তারা।
বিশ্ব বাণিজ্যের নিয়ম অনুযায়ী একটি সদস্য দেশ খাদ্যে ভর্তুকি খাতে কৃষির মোট উৎপাদন-মূল্যের ১০ শতাংশের বেশি খরচ করতে পারে না। এ জন্য ১৯৮৬-’৮৮ সালের দামকে ভিত্তি হিসেবে ধরা হয়। তবে খাদ্য নিরাপত্তা বজায় রাখতে এই নিয়ম মানা সম্ভব হবে না বলেই আশঙ্কা উন্নয়নশীল দেশগুলির। তাই এই আইন বদলের দাবি তুলেছে নয়াদিল্লি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy