রেকর্ড অঙ্কে পৌঁছল নিফ্টি। মঙ্গলবার বাজার বন্ধের সময়ে ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের ওই সূচক ৯,৩০৬.৬০ অঙ্কে গিয়ে ঠেকে। উত্থান ৮৮.৬৫ পয়েন্ট। এর আগে গত ৫ এপ্রিল ৯.২৬৫.১৫ পয়েন্টে বন্ধ হয়ে নজির গড়েছিল নিফ্টি।
এক দিকে রিলায়্যান্স ইন্ডাস্ট্রিজের চমকপ্রদ আর্থিক ফল, অন্য দিকে বিশ্ব বাজার চাঙ্গা হয়ে ওঠার খবরে এ দিন তেজী হয়ে উঠে দালাল স্ট্রিট। সেনসেক্সও বেড়েছে ২৮৭ পয়েন্ট। এই নিয়ে গত দু’দিনেই সেনসেক্স বাড়ল ৫৭৭.৫৪ পয়েন্ট। এ দিন বাজার বন্ধের সময়ে সূচক থিতু হয় ২৯,৯৪৩.২৪ অঙ্কে। গত তিন সপ্তাহের মধ্যে এটাই সেনসেক্সের বাজার বন্ধকালীন সর্বোচ্চ অঙ্ক।
বাজারকে চাঙ্গা করতে এ দিন রসদ জুগিয়েছে টাকার দাম বাড়াও। ডলারে টাকার দাম এক লাফে বেড়ে গিয়েছে ১৮ পয়সা। বিদেশি মুদ্রার বাজার বন্ধের সময়ে প্রতি ডলারের দাম দাঁড়ায় ৬৪.২৬ টাকা।
বেশ কিছু দিন বাদে ফের লগ্নিতে ফিরে এসেছে বিদেশি লগ্নিকারী সংস্থাগুলি। নিট হিসাবে এ দিন ওই সব সংস্থা ভারতের বাজারে শেয়ার কিনেছে ২৪৮ কোটি টাকার। বেশ কিছু দিন ধরে তারা টানা শেয়ার বিক্রি করছিল। গত সোমবারও ওই সব সংস্থা ভারতে ২৭৯.৫৫ কোটি টাকার শেয়ার বিক্রি করে।
তবে হালে শেয়ার বাজার চাঙ্গা হওয়ার পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছে ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলির লগ্নি। ওই সব সংস্থা বেশ কিছু দিন ধরে টানা শেয়ার কিনে চলেছে। এ দিনও তাদের বিনিয়োগের পরিমাণ ছিল ৯৭৮ কোটি টাকা। এই নিয়ে গত দু’দিনেই ভারতীয় আর্থিক সংস্থাগুলি লগ্নি করেছে ১৯৬২ কোটি টাকারও বেশি।
দেশের শেয়ার বাজার এখন পুরোপুরি ‘বুল’-দের দখলে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তাই সূচক আরও বাড়বে বলেই তাঁদের ধারণা। অবশ্য এক শ্রেণির বাজার বিশেষজ্ঞের মতে, এই মুহূর্তে বাজারে শেয়ারের দাম যে-স্তরে উঠেছে, তাতে কৃত্রিমতা রয়েছে। তাই তাঁদের আশঙ্কা, যে-কোনও সময়েই বড় মাপের সংশোধন বা ‘কারেকশন’ আসতে পারে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy