রেলের নিষেধ সত্ত্বেও হাওড়া স্টেশনের প্ল্যাটফর্ম ও দূরপাল্লার ট্রেনে দীর্ঘদিন ধরে খাবার এবং অন্যান্য জিনিস বিক্রি করছিলেন কয়েক জন লাইসেন্সহীন হকার। শুক্রবার দুপুরে হকারদের মধ্যে মারপিটকে কেন্দ্র করে বিষয়টি কার্যত প্রকাশ্যে চলে এল।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, রেলের অনুমতি ছাড়াই এ দিন দুপুরে হাওড়া স্টেশনের ৯ নম্বর প্ল্যাটফর্মে ব্যাগে করে খাবার বিক্রি করছিলেন কয়েক জন যুবক। সঞ্জয় সোনকার নামে এক হকার এই ঘটনার প্রতিবাদ করলে দু’পক্ষের বচসা বাধে। অভিযোগ, ছ’সাত জন যুবক সঞ্জয়কে মারধর শুরু করেন। ক্ষুর দিয়ে তাঁর কপালে ও হাতে আঘাত করা হয়। রেলরক্ষী বাহিনীর কয়েক জন জওয়ান এসে পড়ায় আক্রমণকারীরা পালিয়ে যান। হাওড়া রেল পুলিশ থানায় ওই যুবকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন সঞ্জয়।
আক্রান্ত যুবকের অভিযোগ, তিনি দূরপাল্লার ট্রেনে খাবার বিক্রি করেন বলে তাঁকে একাধিক বার মারধর করা হয়েছে। এমনকী, ট্রেন থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেওয়া হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় দীর্ঘদিন ধরে তিনি চিকিত্সাধীনও ছিলেন। রুজির টানে এখন ট্রেনের গার্ড ও প্যান্ট্রিকারের কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে একটি নির্দিষ্ট ট্রেনে খাবার ফেরি করেন। তাঁর অভিযোগ, ফের একদল যুবক তাঁকে প্রায়ই বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। এ দিন ওই যুবকদের প্ল্যাটফর্মে খাবার বিক্রি করতে দেখে প্রতিবাদ করেন তিনি। তখনই তাঁকে মারা হয়।
সঞ্জয়ের অভিযোগ, “ওই যুবকেরা হাওড়ার এক তৃণমূল কাউন্সিলরের স্বামীর ঘনিষ্ঠ। ওঁরাই এখন রেল পুলিশের সহায়তায় হাওড়া স্টেশনে দাপিয়ে বেড়ান। রেল পুলিশকে বলেও কোনও লাভ হয় না।”
কিন্তু প্রশ্ন হল, ট্রেনে বা প্ল্যাটফর্মে লাইসেন্সহীন হকার থাকলেও রেল পুলিশ ব্যবস্থা নেয় না কেন? রেল পুলিশের এক কর্তা বলেন, “মাঝে মাঝেই লাইসেন্সহীন হকারদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়। তবে কোনও স্টেশনেই পুরোপুরি হকারি বন্ধ করা যায়নি।” তিনি জানান, ওই যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত হচ্ছে। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy