মুখে ইংরেজি ও হিন্দির খই ফুটছে সারাক্ষণ। আদব-কায়দায় রাশভারী চাল। নিজেকে আইপিএস অফিসার বলেই পরিচয় দিয়েছিলেন এক তরুণী।
পুলিশের দাবি, ওই মহিলার ভ্যানিটি ব্যাগে রাখা পরিচয়পত্রটিতেও লেখা, ‘অলিভিয়া শাখাওয়াত সিংহ, অ্যাডিশনাল পুলিশ কমিশনার।’ পরিচয়পত্রটি জাল বলেই পুলিশ জানতে পেরেছে। আইপিএস অফিসারের ভেক ধরে প্রতারণার অভিযোগে মঙ্গলবার ব্যারাকপুর থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে ওই মহিলাকে।
পুলিশ জানায়, ধৃতের আসল নাম নবমিতা দে (২৮)। বাড়ি বালিগঞ্জে। তিনি নিজেকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয় ও দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বলেও দাবি করেছিলেন। কেন তিনি আইপিএস অফিসারের ভেক ধরেছিলেন, তা অবশ্য এখনও পরিষ্কার নয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এ দিন ব্যারাকপুরের চিড়িয়ামোড়ে একটি দোকানে কিছু সোনার গয়না কিনতে ও কয়েকটি গয়না ফেরত দিতে এসেছিলেন নবমিতা। কিন্তু বিস্তর গয়না নেড়েচেড়ে দেখলেও কোনওটিই তাঁর মনে ধরছিল না। দোকানের কর্মীরা পুলিশকে জানিয়েছেন, এই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই মহিলা ক্ষেপে ওঠেন। কর্মীদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। নিজেকে আইপিএস-কর্তা বলে দাবি করে এক মহিলা কর্মীকে গুলি করে মেরে ফেলারও হুমকি দেন। হুমকি দিতে দিতেই ব্যাগ হাতড়ে রিভলভারও খুঁজতে শুরু করেন। এক কর্মী তখনই কোনওক্রমে দোকান থেকে বেরিয়ে টিটাগড় থানায় ফোন করেন। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্ত মহিলাকে গ্রেফতার করে।
এক পুলিশকর্তার কথায়, “মহিলার মেজাজ দেখে প্রথমে তদন্তকারীরা ঘাবড়ে গিয়েছিলেন। পরে কথাবার্তা শুনে মালুম হয়, তিনি সত্যি বলছিলেন না।” তবে মহিলার ব্যাগ থেকে রিভলভার উদ্ধার হয়নি। ওই মহিলা নেশাগ্রস্ত অবস্থায় ছিলেন বলেও পুলিশের ধারণা।
গত শনিবারই কলকাতার তিলজলা থেকে পুলিশের সাব-ইনস্পেক্টরের ভেক ধরে উর্দি পরা অবস্থায় ধরা পড়েন এক যুবক। অভিযোগ, এক ব্যবসায়ীকে পুলিশে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার ভুয়ো প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছ’লক্ষ টাকা চেয়েছিলেন তিনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy