অঙ্কন: ওঙ্কারনাথ ভট্টাচার্য
চারিদিকে রোগীর পরিজনদের ভিড়। তার মধ্যেই এক ব্যক্তি চিৎকার করছেন ‘চোর চোর’ বলে। উল্টো দিকে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করছে মধ্যবয়স্ক এক ব্যক্তি। কিছুটা যাওয়ার পরে ওই ব্যক্তিকে ধরে ফেললেন হাসপাতাল চত্বরে থাকা রোগীর পরিজনেরাই। তার পকেট থেকে উদ্ধার হল কয়েক হাজার টাকা। খবর পেয়ে পুলিশ এসে ওই যুবককে আটক করে জেরা করে জানতে পারে, হাসপাতালের মধ্যেই এক ব্যক্তিকে মাদক মেশানো সিগারেট খাইয়ে বেহুঁশ করে ৯ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছে সে।
সোমবার দুপুরে ঘটনাটি ঘটে আর জি কর হাসপাতাল চত্বরে। ধৃত যুবকের নাম সৌমেন রায় ওরফে সঞ্জয়। তার বাড়ি পূর্ব যাদবপুর থানা এলাকায়। সঞ্জয়ের দেওয়া মাদক মেশানো সিগারেট খেয়ে বেহুঁশ হন উত্তর চব্বিশ পরগনার মসলন্দপুরের বাসিন্দা গৌর প্রামাণিক। তবে তাঁর অবস্থা গুরুতর নয় বলে পুলিশের দাবি।
পুলিশ জানায়, গত ২২ জুন সন্তানসম্ভবা স্ত্রীকে আরজিকরে প্রসূতি বিভাগে ভর্তি করান গৌর প্রামাণিক। ওই রাতেই তাঁদের একটি সন্তান হয়। কিন্তু স্ত্রীর অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় কয়েক দিন ধরে ওই হাসপাতাল চত্বরেই থাকছিলেন গৌরবাবু।
হাসপাতালে ভর্তি গৌর তদন্তকারীদের জানিয়েছেন, সোমবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ তিনি ওই হাসপাতালের প্রসূতি বিভাগের নীচে বসেছিলেন। সঞ্জয় এসে তাঁর সঙ্গে ভাব জমিয়ে জানতে চান তিনি কোথায় থাকেন। তাঁর বাড়ি মসলন্দপুরে শুনে সঞ্জয় বলে সেও মসলন্দপুরে থাকে। এর পরেই দু’জনে সিগারেট খান। সেটি খাওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই আচ্ছন্ন বোধ করেন তিনি। তখন বুঝতে পারেন, সৌমেন তাঁর পকেট থেকে টাকা তুলে নিচ্ছে। তার কয়েক মিনিটের মধ্যেই গৌরবাবুর চিত্কার শুনতে পান হাসপাতাল চত্বরে থাকা লোকজন। চিত্কার শুনেই লোকজন দৌড়ে এসে সৌমেনকে ধরে ফেলে। তাকে হাসপাতালের ভিতরে পুলিশ আউটপোস্টে নিয়ে যাওয়া হয়। সৌমেনের পকেট থেকে পুলিশ ৯ হাজার টাকা উদ্ধার করে। এই টাকা কোথা থেকে এল তার সদুত্তর দিতে না পারায় টালা থানায় নিয়ে যাওয়া হয় সঞ্জয়কে এবং সেখানে তাকে জেরা করেই পুরো ঘটনা জানতে পারেন তদন্তকারীরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy