Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

এ বার প্রেসিডেন্সি ছেড়ে দিলেন ইতিহাসের প্রধান

পারিশ্রমিক কম, পরিকাঠামোর অভাব ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার যে-প্রবণতা শুরু হয়েছিল, তাতে ভাটার লক্ষণ নেই। সেই ধারা যে বজায় রয়েছে, সেখানকার এক বিভাগীয় প্রধানের ইস্তফায় সেটা প্রমাণিত হয়ে গেল। ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধান শুক্লা সান্যাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ মে ২০১৫ ০৩:৪৬
Share: Save:

পারিশ্রমিক কম, পরিকাঠামোর অভাব ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে প্রেসিডেন্সি বিশ্ববিদ্যালয় ছেড়ে দেওয়ার যে-প্রবণতা শুরু হয়েছিল, তাতে ভাটার লক্ষণ নেই। সেই ধারা যে বজায় রয়েছে, সেখানকার এক বিভাগীয় প্রধানের ইস্তফায় সেটা প্রমাণিত হয়ে গেল। ইতিহাসের বিভাগীয় প্রধান শুক্লা সান্যাল ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে চাকরি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন বলে প্রেসিডেন্সি-কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার জানান।

শুধু পদ থেকে ইস্তফা নয়, প্রেসিডেন্সিই ছেড়ে দিয়েছেন শুক্লাদেবী। কিন্তু কেন? কর্তৃপক্ষ যে-‘ব্যক্তিগত কারণ’-এর উল্লেখ করেছেন, সেটা কী, তা জানা যায়নি। কারণ, বক্তব্য জানতে চেয়ে বারবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও শুক্লাদেবীকে পাওয়া যায়নি। একটি সূত্রের খবর, শুক্লাদেবী ব্যক্তিগত অসুবিধার কথা জানিয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়েছিলেন। প্রেসিডেন্সির রেজিস্ট্রার দেবজ্যোতি কোনার এ দিন ওই শিক্ষিকার ইস্তফার কথা স্বীকার করে নিয়ে বলেন, ‘‘ব্যক্তিগত কারণে ইতিহাস বিভাগের বর্তমান প্রধান ইস্তফা দিয়েছেন। ওই বিভাগের অধ্যাপক সজল নাগকে বিভাগীয় প্রধান করা হচ্ছে।’’

বিশেষজ্ঞদের বক্তব্য, এই ইস্তফার জেরে প্রেসিডেন্সিতে শিক্ষক-সঙ্কট ফের ঘনীভূত হল। এর আগেও একাধিক অধ্যাপক ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে প্রেসিডেন্সি ছেড়ে চলে গিয়েছেন। এর আগে ইতিহাসেরই শিক্ষক বেঞ্জামিন জাকারিয়া ছেড়ে চলে গিয়েছেন। তার পরেই ইস্তফা দিলেন শুক্লাদেবী। প্রেসিডেন্সি কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়ে উন্নীত হওয়ার পরে ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে অনেক শিক্ষক চলে গিয়েছেন। ফলে শিক্ষকের অনেক পদই শূন্য।

সম্প্রতি প্রায় ১৫০ পদে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞাপন দিয়েছে প্রেসিডেন্সি। সেই প্রক্রিয়া শেষ হতে না-হতেই শুক্লাদেবীর ইস্তফা প্রেসিডেন্সির কাছে বড় ধাক্কা বলে মনে করছেন অনেকে। কেন শিক্ষকেরা প্রেসিডেন্সির মতো প্রতিষ্ঠান ছেড়ে চলে যাচ্ছেন, তা নিয়ে জল্পনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। প্রাক্তন উপাচার্য মালবিকা সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক কর্তার গোলমালের খবর সংবাদমাধ্যমের শিরোনামে এসেছিল। একটি সূত্রের খবর, বিভাগ পরিচালনা নিয়ে শুরু থেকেই কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সংঘাত বাধছিল শুক্লাদেবীর। অন্য একটি সূত্র অবশ্য এটা অস্বীকারও করছে।

শিক্ষক-জটের মধ্যেই ন্যূনতম হাজিরা নিয়ে প্রেসিডেন্সি-কর্ত়ৃপক্ষ নিজেদের সিদ্ধান্তে অনড় রয়েছেন। আগের সেমেস্টার পরীক্ষার সময় আন্দোলনের জেরে এই সিদ্ধান্ত শিথিল হয়েছিল। তখনই উপাচার্য অনুরাধা লোহিয়া জানিয়ে দিয়েছিলেন ভবিষ্যতে ৭৫ শতাংশ হাজিরা না-থাকলে পড়ুয়াদের সেমেস্টারে বসতে দেওয়া হবে না। রেজিস্ট্রার এ দিন বলেন, ‘‘ন্যূনতম হাজিরা না-থাকায় মোট ২৩০ জন পড়ুয়া এই সেমেস্টারে বসতে পারছে না।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE