২০ হাজার টাকা দামের একটি কম্পিউটার পুরসভা নিয়েছে বার্ষিক ৮২ হাজার টাকায়। এ রকম ১০০টি কম্পিউটারের জন্য তিন বছরে পুরসভার তহবিল থেকে অকারণে গলে গিয়েছে প্রায় সওয়া দু’কোটি টাকা। (যা ভুলবশত শুক্রবারের খবরের শিরোনামে আড়াই লক্ষ টাকা হিসেবে লেখা হয়েছে)। আনন্দবাজারে এই খবর প্রকাশিত হতেই বিষয়টি নিয়ে তদন্তের নির্দেশ দিলেন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায়। শনিবার তিনি বলেন, ‘‘এটি মারাত্মক ব্যাপার। পুর কমিশনারকে তদন্ত করে রিপোর্ট দিতে বলেছি। কোনও ভাবে ভুল বুঝিয়ে ফাইল সই করানো হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট পুর-অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’’
২০১১ সালে পুরসভার প্রাথমিক স্কুলগুলিতে পড়ুয়াদের কম্পিউটারে পড়াশোনা শেখানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়। তার জন্য কম্পিউটার না কিনে ভাড়া নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় শিক্ষা দফতর। ঠিক হয় ১০০টি কম্পিউটার ভাড়া নেবে পুরসভা। টেন্ডারের মাধ্যমে আনুষঙ্গিক যন্ত্রপাতি-সহ কম্পিউটার পিছু ৬৮৬০ টাকা করে ভাড়া ঠিক হয়। পুরসভার এক কর্তার কথায়, ‘‘তিন বছর ধরে ১০০টি কম্পিউটার ভাড়া নেওয়ার জন্য প্রায় আড়াই কোটি টাকা দিতে হচ্ছে পুরসভাকে। অথচ ১০০টি কম্পিউটার কিনতে পুরসভার খরচ হত বড়জোর লাখ পঁচিশেক টাকা।’’ অর্থাৎ প্রায় সওয়া দু’কোটি টাকা অপচয় হয়েছে বলে মনে করেন ওই আধিকারিক।
মেয়র বলেন, ‘‘এ সব তো একদিন বা এক মাসের নয়, তিন বছরের জন্য। তাই ভাড়া নেওয়ার কোনও যৌক্তিকতা ছিল বলে মনে করি না।’’ শোভনবাবু জানান, টাকা না থাকলে তখন কেনার দরকার ছিল না। এ ভাবে ভাড়া কেন নেওয়া হল, তা তদন্ত করে দেখা দরকার। অনেক সময়ে ঠিকাদার সংস্থাও ভুল বুঝিয়ে থাকে। এ ক্ষেত্রে তা করা হয়েছে কি না, তা-ও দেখতে বলা হয়েছে। শোভনবাবু এ দিন বলেন, ‘‘তদন্ত রিপোর্ট আসার পরেই সব বোঝা যাবে। যার ভুলই হোক না কেন, কাউকে রেয়াত করা হবে না।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy