Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

কেন্দ্রীয় বাহিনী পাবে না শহরের বহু স্পর্শকাতর বুথ

চাহিদা মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাওয়ায় কলকাতা পুলিশের সমস্ত স্পর্শকাতর ভোট-কেন্দ্রে তাদের মোতায়েন করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল লালবাজার। লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের এলাকার জন্য মাত্র ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে এ বারের লোকসভার ভোটে। ফলে কলকাতা পুলিশ এলাকার সব স্পর্শকাতর বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৫ এপ্রিল ২০১৪ ০১:১৩
Share: Save:

চাহিদা মতো কেন্দ্রীয় বাহিনী না পাওয়ায় কলকাতা পুলিশের সমস্ত স্পর্শকাতর ভোট-কেন্দ্রে তাদের মোতায়েন করা যাবে না বলে জানিয়ে দিল লালবাজার।

লালবাজার সূত্রের খবর, কলকাতা পুলিশের এলাকার জন্য মাত্র ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী আসবে এ বারের লোকসভার ভোটে। ফলে কলকাতা পুলিশ এলাকার সব স্পর্শকাতর বুথগুলিতে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না। এ ছাড়াও লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, আগামী ১২ মে কলকাতা পুলিশ এলাকায় লোকসভা নির্বাচন। তার দু’দিন আগে শহরে পৌঁছবে কেন্দ্রীয় বাহিনী। ফলে অন্য বারের মতো ভোটের আগে তাদের দিয়ে এলাকা টহল দেওয়াও সম্ভব হবে না।

কলকাতা পুলিশ সূত্রের খবর, ২০১১-এ কলকাতা পুলিশের এলাকা ছিল ১০৯ বর্গকিলোমিটার, এখন তা বেড়ে হয়েছে ২৪৩ বর্গকিলোমিটার। গত বার ৪৫টি থানার জায়গায় এ বার থানার সংখ্যা ৬৯। গত লোকসভা ভোটে কলকাতা পুলিশের আওতায় যেখানে ৭৮৮টি ভোটগ্রহণ কেন্দ্র ছিল, এ বার তার সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৪৯২। আর বুথের সংখ্যা গত বার যেখানে ছিল ২৬৩৫, সেখানে এ বার ৪৬৪৪।

এক পুলিশকর্তা জানান, শহরে নির্বিঘ্নে ভোট করতে ৫০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী নেহাতই অপ্রতুল। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ অনুযায়ী প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করতে হলে দরকার ১০৫ কোম্পানি। কিন্তু তারও অর্ধেক কেন্দ্রীয় বাহিনী পাওয়া যাচ্ছে এ বার। লালবাজার সূত্রের খবর, কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘাটতি মেটাতে বুথ এবং ভোটগ্রহণ কেন্দ্রগুলিতে কলকাতা পুলিশের সশস্ত্র বাহিনীকে মোতায়েন করা হবে। তবে ভোটের জন্য কলকাতা পুলিশের একটি বড় অংশকে ভিন্ রাজ্যে পাঠানো হয়েছে।

কলকাতা পুলিশের একাংশের বক্তব্য, ২০০৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনের সময় থেকেই এ শহরে ভোটের সাত দিন আগেই পৌঁছে যেত কেন্দ্রীয় বাহিনী। সেই বাহিনীকে মোতায়েন করা হত বিভিন্ন এলাকায়। ভোটের সময়ে আইন-শৃঙ্খলা ঠিকঠাক রাখতে ওই বাহিনীকে দিয়ে ‘রুট মার্চ’ করানো হত শহরের স্পর্শকাতর এলাকাগুলিতে। কলকাতা পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ২০০৬, ২০০৯ এবং ২০১১ সালে এ ভাবে কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর ফলে নির্বাচনের আগে এবং পরে শহরে কোনও ধরনের রাজনৈতিক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেনি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

central force in election
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE