Advertisement
২৩ এপ্রিল ২০২৪

ঠিক হয়নি, ছাত্ররা কেন জড়াতে গেল

আনন্দবাজার: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রিপোর্ট পেলেন? পার্থ চট্টোপাধ্যায়: বুধবার থেকেই উপাচার্যের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে। আমি রিপোর্ট চেয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার সে রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার যুক্তমঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করব।

শেষ আপডেট: ০৩ জুলাই ২০১৫ ০৩:৪৭
Share: Save:

আনন্দবাজার: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রিপোর্ট পেলেন?

পার্থ চট্টোপাধ্যায়: বুধবার থেকেই উপাচার্যের সঙ্গে আমার কথা হচ্ছে। আমি রিপোর্ট চেয়েছিলাম। বৃহস্পতিবার সে রিপোর্ট এসে পৌঁছেছে। শুক্রবার যুক্তমঞ্চের সদস্যদের সঙ্গে আলোচনা করব।

কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে এমন ঘটনা কি কাম্য ছিল?

যুক্তমঞ্চের পেশ করা দাবিদাওয়া সিন্ডিকেট নাকচ করে দিয়েছিল। তার জেরে সেনেট হলে অবস্থান ও পোস্টার লাগানোর ফলে যে অবস্থা তৈরি হয়েছিল, সেটা আদর্শ পরিবেশ ছিল না। ঐতিহ্যশালী ওই জায়গায় যা হয়েছে, তা ঠিক নয়।

বিশ্ববিদ্যালয় কি সময়ে পরিস্থিতি সামাল দিতে ব্যর্থ?

দুর্নীতিগ্রস্তদের শাস্তি দিতে হবে বলে ছাত্ররা দাবি তুলেছিল। উপাচার্যকে বলি, আপনি শিক্ষকদের সঙ্গে কথা বলুন। আমি ছাত্রদের সঙ্গে কথা বলছি। দ্রুত অবস্থান তুলে নিতে ছাত্রদের নির্দেশ দিয়েছিলাম।

কিন্তু ছাত্রদের ভূমিকা কি ঠিক ছিল?

যাই ঘটুক না কেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নৈরাজ্য বরদাস্ত করা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীও এটা সমর্থন করেন না। কড়া হাতে এ সব ঘটনার মোকাবিলা করা হবে। তবে সরকার দুর্নীতিকেও লঘু করে দেখবে না। কোনও বেনিয়ম বরদাস্ত করা হবে না। কেউ দোষী হলে শাস্তি পাবেন। না হলে পাবেন না। এত ভয় কীসের? তবে আর্থিক দুর্নীতির ওই ঘটনা ছাত্রদের বিষয় নয়। ছাত্ররা এ বিষয়ে কথা বলুক, চাই না। গোলমাল হবে, গণ্ডগোল হবে— এটা ঠিক নয়।

বুধবারের ঘটনা নিয়ে সর্বত্র রাজ্য সরকারের সমালোচনা হচ্ছে?

এ দিন শঙ্খ ঘোষের সঙ্গে কথা বলেছি। কৃষ্ণা বসু, সুগত বসুকেও বিষয়টি জানিয়েছি। এর পরে ছাত্র ও শিক্ষক, উভয় পক্ষের সঙ্গে কথা বলব। যুক্তিগ্রাহ্য কথা বললে অবশ্যই বিবেচনা করা হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে কি বহিরাগতরা ঢুকেছিল?

তদন্তের আগে কোনও মন্তব্য করব না। তাতে তদন্ত প্রভাবিত হতে পারে। কী ঘটেছিল, তা জানতেই রিপোর্ট চেয়েছি। যে ঘটনাই ঘটুক না কেন, তা দুর্ভাগ্যজনক।

শিক্ষক ও ছাত্রদের গোলমাল থামাতে বুধবার পুলিশ ডাকা হল না কেন?

বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে পুলিশ ঢুকবে কি না, তা উপাচার্যের বিষয়। তিনি প্রয়োজন মনে করলে ডাকতেন। তা ছাড়া পুলিশ ডাকলে মিডিয়া সমালোচনা শুরু করে দেবে। যাদবপুরের ক্ষেত্রে যেমনটা হয়েছিল।

টিএমসিপি-র রাজ্য সভাপতি অশোক রুদ্র এবং স্থানীয় তৃণমূল নেতারা কী করতে গিয়েছিলেন?

দলের বিষয়ে এখান থেকে কিছু বলব না।

কারা দায়ী? তাঁদের ক্ষেত্রে শাস্তির ব্যবস্থা কি করা হবে?

তদন্ত করে সকলের কথা শুনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এই ঘটনা যাতে আর না ঘটে সেই ব্যবস্থা করতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE