ট্র্যাফিক জ্যাম পরমা উড়ালপুলে।— নিজস্ব চিত্র।
অসমাপ্ত অবস্থায় তড়িঘড়ি পরমা উড়ালপুল চালু দেওয়ায় পুজোর আগে বিড়ম্বনা বাড়ল কলকাতা ট্রাফিক পুলিশের। শুক্রবার উদ্বোধনের পর থেকেই উড়ালপুলের একটি লেনের যানজটে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিল পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্ট। শনিবারও একই সমস্যা দেখা দেওয়ায় সকাল ১১ টা থেকে টানা দু’ঘণ্টা বাইপাস থেকে পার্কসার্কাসমুখী লেন বন্ধ রাখে ট্রাফিক পুলিশ।
ট্রাফিক পুলিশ সূত্রের খবর, বাইপাস থেকে পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টের লেনটি দু’ভাগে ভাগ হয়ে একটি ভাগ কংগ্রেস এগজিবিশন হয়ে এজেসি বসু উড়ালপুলের সঙ্গে যোগ করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু ওই দিকের লেনটি তৈরি হয়নি। ফলে সাত মাথার মোড়ের ২০০ মিটার আগে থেকে দু’লেনের গাড়িগুলি একটি লেনে এসে নামছে। তাতেই চাপ বাড়ছে। আর সেই চাপ সামলাতেই মাঝে মাঝে কিছু সময়ের জন্য পরমা উড়ালপুলের বাইপাস বা পি সি চন্দ্র গার্ডেন থেকে পার্ক সার্কাস-মুখী লেনটি বন্ধ রাখতে হচ্ছে।
ট্রাফিক পুলিশের আরও ব্যাখ্যা, পার্ক সার্কাস সেভেন পয়েন্টে সাত দিক থেকে গাড়ি আসে। এত দিন কোন রাস্তার গাড়ি কোন দিকে যাবে এবং তার সঙ্গে অন্য কোন রাস্তার গাড়ি আটকে রাখা হবে- তার একটা সিগন্যাল ব্যবস্থা নির্দিষ্ট ছিল। কিন্তু নতুন উড়ালপুলের গাড়ির জন্য সেই সিগন্যাল এখনও তৈরি করা হয়নি। ফলে বাইপাস থেকে আসা গাড়িগুলি সাত মাথার মোড়ে নামার পর কোন দিকে কখন যাবে তা বুঝে উঠতে না পেরে একই সময়ে বিভিন্ন দিকে মোড় নিচ্ছে। এতে ওই মোড়ের বাকি দিক থেকে আসা গাড়িগুলির সঙ্গে সামঞ্জস্য না রাখতে পারায় পুরো পার্ক সার্কাস মোড় অবরুদ্ধ হয়ে পড়ছে। শেষে ম্যানুয়াল সিগন্যালিংয়ের জন্য ট্রাফিক সার্জেন্ট নামিয়ে পুরো পরিস্থিতি সামাল দিতে হয়। সেই জন্যই উড়ালপুলের লেনটি দু’ঘণ্টার জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়। পরে পার্ক সার্কাস মোড়ের অবস্থা স্বাভাবিক হলে ফের দুপুর দু’টোর পর থেকে লেনটি খুলে দেওয়া হয়।
ট্রাফিক পুলিশের দাবি, নতুন করে সিগন্যাল ব্যবস্থা তৈরি না হওয়া পর্যন্ত ট্রাফিক পুলিশ নামিয়ে আপাতত গাড়ির দিক ঠিক করা হবে। তবে এক বার সিগন্যাল তৈরি হয়ে গেলে এই সমস্যা মিটে যাবে। কিন্তু অসমাপ্ত অবস্থায় উড়ালপুলটি চালু করে দিলে ট্রাফিকের যে এই সমস্যা হতে পারে, তা কী আগে থেকে ট্রাফিক পুলিশের জানা ছিল না?
খুলতে না খুলতেই দুর্ঘটনা
শনিবার পরমা উড়ালপুলের ডিভাইডারে ধাক্কা মেরে গুরুতর জখম হয়েছেন হেলমেটহীন দুই বাইক আরোহী। পুলিশ সূত্রে খবর, জখম দুই যুবকের নাম শেখ মেহেরাজ (২০) এবং ফৈজান আহমেদ (১৬)। এরা বেনিয়াপুকুর এলাকার বাসিন্দা। দু’জনকে সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পার্ক সার্কাসের ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে এক জনকে মল্লিক বাজারের একটি বেসরকারি হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy