Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

নলবনের ভেড়িতে মুখ ঠেসে খুন কর্মীকে, সন্দেহ মাছ লুঠেরাদের

মেছো ভেড়ির নরম মাটির মধ্যে কেউ যেন ঠেসে ঢুকিয়ে দিয়েছে গোপাল বরের মাথা। মুখ গুঁজে উপুড় হয়ে পড়ে ছিল মৎস্য দফতরের কর্মীর অচেতন দেহ। উদ্ধারের পর বোঝা যায় অচেতন নন, গোপাল বর মৃত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০৪ অক্টোবর ২০১৫ ১৫:৩৯
Share: Save:

মেছো ভেড়ির নরম মাটির মধ্যে কেউ যেন ঠেসে ঢুকিয়ে দিয়েছে গোপাল বরের মাথা। মুখ গুঁজে উপুড় হয়ে পড়ে ছিল মৎস্য দফতরের কর্মীর অচেতন দেহ। উদ্ধারের পর বোঝা যায় অচেতন নন, গোপাল বর মৃত।

তাঁর চার সহকর্মী গুরুতর জখম হয়ে হাসপাতালে। তাঁদের মধ্যে দু’জন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন।

রোজকার মতো শনিবারও ডিউটিতে গিয়েছিলেন গোপাল বর। কর্মস্থল নলবনের তিনের ভেড়ি। সরকারি ভেড়ি পাহারা দিতেন তিনি। সঙ্গে সহকর্মীরাও থাকতেন। গত কয়েক দিন ধরেই ভেড়ির জল ছেঁচে মাছ তোলার কাজ চলছিল। ভেড়ি ছেঁচে মাছ তোলার সময় যেহেতু প্রচুর পরিমাণে মাছ ওঠে, তাই মাছ লুঠের জন্য দুষ্কৃতীদের হামলা নতুন ঘটনা নয়। মৎস্য দফতরের কর্মীদের এই সময় একটু তৎপর থাকতে হয়। শনিবার রাতে আশঙ্কা সত্যি করে হামলা হয় তিনের ভেড়িতে। দুষ্কৃতীরা মৎস্য দফতরের কর্মী এবং অন্যান্যদের উপর সশস্ত্র হামলা চালায় বলে অভিযোগ। ভোর হওয়ার আগেই লুঠপাট সেরে পালায় মাছ লুঠেরার দল।

তিনের ভেড়িতে রাতে হামলার কথা রবিবার সকালে জানাজানি হয়। ঘটনাস্থল থেকে গুরুতর জখম অবস্থায় উদ্ধার করা হয় চার জনকে। তাঁদের দ্রুত হাসপাতালেও নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু, গোপাল বরকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। অনেক খোঁজাখুজির পর কাদামাটিতে মাথা গোঁজা অবস্থায় তাঁর দেহ মেলে।

আপাতদৃষ্টিতে মাছ চুরির উদ্দেশ্যে হামলা বলে মনে হলেও, অন্যান্য সম্ভাবনাও উড়িয়ে দিচ্ছে না পুলিশ। নলবন এলাকায় মাছ লুঠ করতে গিয়ে খুনের ঘটনা আগে ঘটেনি বলে স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি। গোপাল বরকে খুন করার পিছনে অন্য কোনও উদ্দেশ্য রয়েছে কি না, খতিয়ে দেখছে পুলিশ। জখমদের সকলের সঙ্গে এখনও তদন্তকারীরা কথা বলতে পারেননি। তাঁদের সঙ্গে কথা বলা গেলে ছবিটা আরও স্পষ্ট হবে বলে মনে করছেন বিধাননগর কমিশনারেটের কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE