দলে যাঁরা ‘অভিমানী’ ও নিজেদের সাময়িক ভাবে ‘নিষ্ক্রিয়’ করে রেখেছেন, এমন কর্মীদের যথাযোগ্য মর্যাদা দিয়ে পুরভোটে কাজে লাগানোর নির্দেশ দিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশেই কলকাতায় পুরভোটের আগে দ্রুত ওয়ার্ড ভিত্তিক কোর কমিটি গড়ে ওই ‘অভিমানী’ নেতা-কর্মীদের কাজে লাগানোর প্রচেষ্টা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে বুধবার উত্তর কলকাতার বিধায়ক ও নেতাদের নিয়ে বিধানসভায় তাঁর কক্ষে বৈঠক করেছেন তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়।
সামনে পুরভোট। ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলছে বিজেপি। হারিয়ে যাওয়া রাজনৈতিক জমিও পুনরুদ্ধারের চেষ্টা করছে সিপিএম। তৃণমূল সূত্রের খবর, এই পরিস্থিতিতে নিজেদের দুর্গ অক্ষত রাখতে এখন থেকেই সংগঠনকে মজবুত করতে বলেছেন দলনেত্রী। সেই নির্দেশানুসারেই এ দিন পার্থবাবুর ঘরে ওই বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়, অবিলন্বে প্রতি ওয়ার্ডে কোর কমিটি গড়ে তুলতে হবে। সংগঠনকে সুসংহত করতে দূরে সরে যাওয়া এবং নিষ্ক্রিয় কর্মীদের কাজে লাগাতে হবে। সেই নিষ্ক্রিয় কর্মীদের চিহ্ণিতকরণ এবং তাঁদের কমিটির অর্ন্তভূক্ত করার ব্যাপারে কাউন্সিলর ও বিধায়কদের নজর দিতে বলা হয়েছে। দলীয় এক নেতা বলেন, “ওয়ার্ডের বিন্যাস অনুসারে কমিটির সদস্য কত হবে তা নির্ধারণ করা হবে।”
উত্তর কলকাতা নিয়ে বৈঠকের কারণ এখানে যে ৬০টি ওয়ার্ড আছে তার ৩৮টিকে তৃণমূলের কাউন্সিলর আছে। বাকি ২২টির মধ্যে বিজেপি ও কংগ্রেসের তিনজন করে কাউন্সিলর আছেন। বামেদের আছেন ১৬ জন কাউন্সিলর। গত লোকসভা ভোটের ফলের নিরিখে বিজেপির প্রাধান্য বেড়েছে আরও ১২টি ওয়ার্ডে। ফলে, তৃণমূল নেতৃত্বে উত্তরের ওয়ার্ডগুলির উপর গুরুত্ব দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে এলাকা ভোটারদের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক গড়তে পুরনো কর্মীদেরই সহযোগিতা দরকার বলে দলের শীর্ষ নেতাদের মত। বৈঠকে সুদীপবাবু বা তাঁর বিধায়ক স্ত্রী নয়না বন্দ্যোপাধ্যায় না থাকলেও, উত্তর কলকাতার দুই মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে, শশী পাঁজা, বিধায়ক স্মিতা বক্সী, মালা সাহা, পরেশ পাল, স্বর্ণকমল সাহা ছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy