বোমা উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টা পরেও কার্যত অন্ধকারেই পুলিশ। কারা কী উদ্দেশ্যে বোমা তৈরি করছিল, তা এখনও স্পষ্ট নয় তাদের কাছে। মঙ্গলবার রাতে নিউ টাউনে ইকো পার্কের পিছনে ঘুনির বনবিবি তলায় ঠিকাকর্মীদের বস্তি থেকে ছ’টি তাজা বোমা মেলে। ঘটনায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে এলাকায়। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, একটি বোমা ফেটে দুই ব্যক্তি জখম হন।
পুলিশ অবশ্য বোমা ফাটার খবর স্বীকার করেনি। তবে একটি মামলা রুজু হয়েছে বলে জানান বিধাননগর পুলিশ কমিশনারেটের গোয়েন্দাপ্রধান কঙ্করপ্রসাদ বারুই। পুলিশ জানায়, প্রচুর পরিমাণে বোমা তৈরির মশলাও আটক হয়েছে। পুলিশের অনুমান, আরও প্রচুর বোমা তৈরির পরিকল্পনা ছিল দুষ্কৃতীদের।
বুধবার দুপুরে এলাকায় গেলেও কেউ বোমা নিয়ে মুখ খুলতে চাননি। স্থানীয় সূত্রে খবর, এলাকায় একটি সরকারি প্রকল্পের কাজ করছেন এক ঠিকাদার। বনবিবিতলার বস্তির ঠিকাকর্মীরা তাঁর অধীনেই কাজ করছেন বলে জেনেছে পুলিশ। ওই ঠিকাদার শাসক দলের ঘনিষ্ঠ বলে খবর মিললেও দলের তরফে কেউ তা স্বীকার করেননি। স্থানীয়েরা জানান, নিউ টাউনের এক সিন্ডিকেট নেতার কাছের লোক বলে পরিচিত ওই ঠিকাদারের বাড়িও ঘুনিতেই। তবে মঙ্গলবার রাত থেকেই তাঁকে আর এলাকায় দেখা যায়নি। এডিসিপি (বিমানবন্দর) জয় টুডু বলেন,‘‘ আমরাও শুনেছি এক ঠিকাদারের কথা। তার খোঁজ চলছে।’’
দখলদারি বজায় রাখতে নিউ টাউনে বিভিন্ন সিন্ডিকেটের মধ্যে বিভিন্ন সময়ে গোলমাল লেগে থাকে। অতীতে তার জেরে বোমা, গুলির ঘটনাও ঘটেছে। সেই কারণেই বোমা মজুত করা হচ্ছিল কি না, তা-ও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
বোমা উদ্ধারের এই ঘটনায় প্রশ্ন উঠেছে এলাকার আইনশৃঙ্খলা নিয়েও। ইদানীং পুলিশি টহলদারি কমে গিয়েছে বলেই স্থানীয়দের অভিযোগ। তাঁদের আশঙ্কা, বিধানসভা ভোট যত এগিয়ে আসবে, ততই এমন ঘটনা বাড়বে। কমিশনারেটের এক পুলিশকর্তা অবশ্য বলেন, ‘‘নিউ টাউন-সহ বেশ কয়েকটি থানায় নতুন ওসি এসেছেন। ফলে কোথাও কোথাও প্রাথমিক ভাবে একটু সমস্যা হচ্ছে। তবে পুলিশ কাজ করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy