খালের পাড়ে পড়ে আছে বর্জ্য। —নিজস্ব চিত্র।
শহরকে জঞ্জালমুক্ত করতে বিভিন্ন প্রকল্পের ঘোষণাকে কার্যত বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাগজোলা খালের উপরেই চলছে ময়লা ফেলা। এর জেরে পরিবেশ দূষণের পাশাপাশি রুদ্ধ হচ্ছে দমদম রোডের উপরে গাড়ির গতিও। সামান্য অসতর্কতাতেই অঘটন ঘটে এখানে। অভিযোগ, তবু হেলদোল নেই দক্ষিণ দমদম পুর কর্তৃপক্ষের।
স্থানীয় সূত্রের খবর, তৃণমূল পরিচালিত আগের পুরবোর্ড এসে তুলে দিয়েছিল ওই ভ্যাট। পথচারীদের অভিযোগ, দক্ষিণ দমদম পুরসভার অনেকগুলি ওয়ার্ডের ময়লা পড়ে ওখানে। পুরসভা পথচারীদের জন্য যে ফুটওভার ব্রিজ করেছে তার নীচেও জমছে ময়লা। সেই ময়লা উপচিয়ে পড়ছে খালে। ব্যস্ত সময়ে অপরিসর দমদম রোডের উপর পুরসভার গাড়ি দাঁড়িয়ে ময়লা তোলায় যানজট আর দুর্গন্ধে নাজেহাল হন পথচারীরা।
বাগজোলার উপরেই নির্ভর করে দমদমের তিনটি পুর এলাকা-সহ কলকাতা পুরসভার কয়েকটি ওয়ার্ডের নিকাশি। সেচ দফতর জানাচ্ছে, বছর দুই আগে বাগজোলা খাল জুড়ে বড় সংস্কার হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এ বারে খালের জল উপচিয়ে এলাকা ভাসিয়েছে। হনুমান মন্দির সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দা করবী সেন বলেন, ‘‘আমাদের পাড়া এলাকার মধ্যে উঁচু। সাত বছরে কোনও দিনও এত জল জমতে দেখিনি।’’ খাল সংস্কারের পরও এই অবস্থার কারণ জনসচেতনতার অভাব— বলছেন সেচ দফতরের এক আধিকারিক।
দক্ষিণ দমদম পুরসভার চেয়ারম্যান পারিষদ (জঞ্জাল) দেবাশিস বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘‘পথচারীদের সমস্যা হচ্ছে জানি। কিছু দিনের মধ্যেই ভ্যাটটা উঠে যাবে। ফুটব্রিজের পাশেই প্রায় ৬০ লক্ষ টাকা খরচে পুরসভা ১০টন করে ময়লা নিতে সক্ষম দু’টি কম্প্যাক্টর বসাচ্ছে ওখানে। সেচ দফতরকে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে নির্দিষ্ট টাকা পুরসভায় জমা দিলে দৈনিক যে ময়লা ব্রিজ সংলগ্ন খালে পড়ে তা পুরসভার জঞ্জাল সাফাই দফতর তুলে নেবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy