মন্দিরে পুজো দিতে গিয়ে গলার হার ছিনতাই হল বৃদ্ধার। অভিযুক্ত অজ্ঞাতপরিচয় যুবক মোটরবাইকে পালিয়ে যায়। পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার সকালে গিরীশ পার্ক থানা এলাকার বিবেকানন্দ রোডের একটি শিব মন্দিরে ঘটনাটি ঘটেছে। এখনও কেউ ধরা পড়েনি।
তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, কালীপুজোর সকালে পুজো দেওয়ার জন্য বাড়ির কাছেই শিব মন্দিরে গিয়েছিলেন বাষট্টি বছরের হর্ষদা গাথানি। তিনি জানান, মন্দিরে ঢোকার আগে তাঁর পাশে দাঁড়ায় এক যুবক। আচমকাই সে বৃদ্ধার কয়েক লক্ষ টাকার হারটি ধরে টান মারে। বৃদ্ধা কিছু বোঝার আগেই দৌড়ে মন্দিরের বাইরে থাকা মোটরবাইকে চম্পট দেয় সে।
হর্ষদাদেবীর বাড়ি ঘটনাস্থলের কাছেই তারক প্রামাণিক ঘাট রোডে। ঘটনার আগের দিন, বুধবার সকালে চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউ এবং যদুনাথ দে স্ট্রিটের সংযোগস্থল দিয়ে হেঁটে যাওয়ার সময় হাজারিবাগের বাসিন্দা রাজেন্দ্রকুমার কৃষ্ণপুরির গলার সোনার চেন ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়েছিল মোটরবাইকে আসা দুই দুষ্কৃতী। ওই ঘটনাতেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি এখনও। মধ্য কলকাতায় পর পর দু’দিন সকালে ছিনতাইয়ের ঘটনায় কপালে ভাঁজ লালবাজারের গোয়েন্দাদের। তাঁদের মতে, নতুন কোনও দল ওই ছিনতাইয়ে যুক্ত। সিসিটিভি ফুটেজ দেখে দুষ্কৃতীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
হর্ষদাদেবীর স্বামী ব্যবসায়ী উমেশ গাথানি জানিয়েছেন, প্রতিদিনই সকালে পুজো দিতে যাওয়ার অভ্যাস তাঁর স্ত্রীর। এ দিন মন্দিরে ঢোকার আগে এক যুবক তাঁর সোনার হার ছিনিয়ে পালায়। পুলিশ জানায়, কালীপুজোর সকালে রাস্তা ফাঁকা ছিল। বৃদ্ধা চিৎকার করলেও ঘটনাস্থলের কাছে কেউ না-থাকায় ওই দুষ্কৃতী বিনা বাধায় তার সঙ্গীদের মোটরবাইকে উঠে পড়ে। হর্ষদাদেবী জানিয়েছেন, মোটরবাইকটি চালু অবস্থায় ছিল, তাতে আরও দু’জন দুষ্কৃতী বসেও ছিল।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের দাবি, হর্ষদা জানিয়েছে, তিন জনের মাথাতেই হেলমেট ছিল না। হার ছিনিয়ে নেওয়ার পর দুষ্কৃতীরা সিমলা স্ট্রিটের দিকে পালিয়ে যায়। তদন্তকারীদের অনুমান, ওই বৃদ্ধা প্রতিদিন মন্দিরে যান এটা দুষ্কৃতীরা আগে থেকে জানতেন। কালীপুজোর সকালে এলাকা ফাঁকা থাকবে। এটা জেনেই তারা ছিনতাইয়ের ছক কষে।
উমেশ গাথানি বলেন,‘‘এই এলাকায় আগে কোনও দিনও এমন ঘটেনি। লালবাজারের তরফে আমাদের সঙ্গে যোগাযোগ করে সব খবর নেওয়া হয়েছে।’’ পরিবার সূত্রের খবর, ঘটনায় কিছুটা ঘাবড়ে গেলেও, শুক্রবার সকালে হর্ষদাদেবী ফের ওই মন্দিরে পুজো করতে গিয়েছিলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy