নিকোলাই ফ্রেডরিক
কখনও পড়ে ফেলছেন মনের নানা কথা। কখনও তাঁর আঙুলের ইশারায় শূন্যে ভাসছে কাঠের টেবল। সঙ্গে চলছে অবিরাম সরস কথোপকথন। সম্প্রতি জার্মান জাদুকর নিকোলাই ফ্রেড্রিকের এমনই সব কাণ্ডকারখানায় মাতল দর্শক ঠাসা কলামন্দির প্রেক্ষাগৃহ।
হাজারো উপকরণ নয়, নিকোলাইয়ের সঙ্গী ছোট্ট একটি ব্যাগ। নিকোলাইয়ের মতে, ‘‘জাদু আসলে কিছু কৌশল আর বুদ্ধির কারসাজি।” অনুষ্ঠান শুরু হল দড়ির খেলা দিয়ে। তার পরে টাকা আর তাসের খেলা দেখাতে দেখাতে ঢুকে পড়লেন তাঁর ‘মেন্টালিস্ট ম্যাজিক’-এ। মনের ভাবনা পড়ে ফেলাই তাঁর বিশেষ দক্ষতা। দশর্কের মধ্যে থেকেই কাউকে ভাবতে বললেন শহরের নাম, কাউকে কোনও সংখ্যা। তার পরে নানা উপায়ে একে একে নির্ভুল ভাবে সেই সব ভাবনার কথা জানিয়েও দিলেন। হতভম্ব হয়ে পড়ল দর্শককূল।
তাঁর ব্যাগের মধ্যেও ছিল বিস্ময়। প্রচলিত জাদুবিদ্যার উপকরণের বদলে ছিল একটি খাতা, পেন, কয়েকটি কাচের গেলাস, কিছু চাবি, রঙিন খাম, খবরের কাগজ। নিকোলাই-এর হাতে এগুলিই হয়ে উঠল ব্রহ্মাস্ত্র। সেই অস্ত্রের সুনিপুণ প্রয়োগে কুপোকাত দর্শক। টুকরো টুুকরো করে ছেড়া খবরের কাগজ জুড়ে গেল চোখের সামনে। মোনালিসার ছবির হারিয়ে যাওয়া অংশ খুঁজতে কাজে লাগালেন এক দর্শকের স্বতঃলব্ধ জ্ঞানকেই। আবার এক দর্শককে সঙ্গে নিয়ে শূন্যে ভাসালেন কাঠের টেবল। নিজের ছোটবেলায় প্রথম বরফ পড়া দেখে অভিভূত হওয়ার গল্প বলতে বলতে তৈরি করলেন কৃত্রিম বরফ।
“আগে অনেক ম্যাজিক শো দেখেছি। এটা একে বারে আলাদা”, বললেন নেহা রায়। তখন তাঁর ঘোর কাটেনি। তবে নিকোলাই-এর একটিই আক্ষেপ। তাঁর হাতে সত্যিকারের জাদুদণ্ড নেই। থাকলে কী করতেন? “নানা বিপর্যয় রুখতে কাজে লাগাতাম”, বললেন নিকোলাই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy