পথের হাল। বৃহস্পতিবার, চিত্তরঞ্জন অ্যাভিনিউয়ে। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক।
মিছিল এবং পাল্টা মিছিলের ভোগান্তির থেকে রেহাই নেই সাধারণের। বৃহস্পতিবারও ফের ব্যস্ত সময়ে রাস্তা আটকে শাসক ও বিরোধীদের মিছিলের জেরে যানজট হয় শহরের বিভিন্ন রাস্তায়। দুর্ভোগে পড়েন অফিস-ফেরত মানুষ।
কাজের দিনে মিছিল করার বিরুদ্ধে জনস্বার্থ মামলায় স্বীকৃত রাজনৈতিক দলগুলিকে যুক্ত হতে বলে এ দিনই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি মঞ্জুলা চেল্লুর। কাজের দিনে শহরে মিছিল করা নিয়ে এক মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এই নির্দেশ। দু’সপ্তাহ পরে ফের শুনানি হবে।
মঙ্গলবার বিকেলে ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল বার করে ২৪ ঘণ্টা আগেই শহরে ধর্মঘটের আগমনী সুর বাজিয়ে দিয়েছিল বামেরা। ধর্মঘটের বিরোধিতা করে রাস্তা আটকে মিছিল করেছিল শাসক
দলের শ্রমিক সংগঠনও। দুই পক্ষের মিছিলে নাজেহাল হতে হয়েছিল সাধারণ মানুষকেই।
বৃহস্পতিবার ধর্মঘটের সমর্থকদের উপরে শাসক দলের হামলার প্রতিবাদে বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল বার করেছিল বামেরা। মিছিল শেষ হয় এন্টালি বাজারের কাছে। পরে রাস্তার একাংশ আটকে সভাও করেন তাঁরা।
এ দিন কেবল বামেদের মিছিলই নয়, শহরের পাড়ায় পাড়ায় বামেদের পাল্টা ধিক্কার মিছিলও বার করেছিল তৃণমূল। ফলে উত্তর থেকে দক্ষিণ, শহরের বিভিন্ন এলাকায় গলদঘর্ম হয়ে চরম ভোগান্তির শিকার হন অফিস-ফেরত মানুষ।
পুলিশ জানায়, এই মিছিলের জেরে নির্মলচন্দ্র স্ট্রিট, লেনিন সরণি, মৌলালি, সিআইটি রোড, এস এন ব্যানর্জি রোড, রফি আহমেদ কিদোয়াই রোডে যান চলাচল দীর্ঘক্ষণ থমকে থাকে। এন্টালির বাসিন্দা মনোতোষ চক্রবর্তী বলেন, ‘‘হাওড়া থেকে এন্টালি পৌঁছতে দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে। গাড়িতে বসে গলদঘর্ম হতে হয়।’’
এ দিন বিকেলে শহরের বিভিন্ন এলাকায় বুধবার ধর্মঘটের ডাক ঘিরে বামেদের ভূমিকায় ধিক্কার জানিয়ে মিছিলের আয়োজন করে তৃণমূল। পুলিশ জানায়, শাসক দলের মিছিলের জেরে হাজরা রোড, রাসবিহারী মোড়, রুবি মোড়, প্রিন্স আনোয়ার শাহ রোড, যাদবপুর, কালীঘাট, শিয়ালদহ, মনোহরপুকুর রোড, কসবা গোলপার্ক, ক্যানিং স্ট্রিট, ব্রেবোর্ন রো়ড, কাশীপুরের খগেন চ্যাটার্জি রোড-সহ উত্তর ও দক্ষিণ কলকাতার বিভিন্ন রাস্তায় যানজট হয়।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy