বিচারপতি গিরীশ গুপ্তের এজলাসে মামলা লড়তে গিয়ে বুধবার হেনস্থা হতে হল একদল আইনজীবীকে।
আইনজীবীদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের অভিযোগ তুলে কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি গিরীশ গুপ্তের এজলাস বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল বার অ্যাসোসিয়েশন। দিন দশেক হল এই বয়কট চলছে। আইনজীবীদের অনুপস্থিতিতে কয়েকজন বিচারপ্রার্থী নিজেরাই নিজেদের মামলার হয়ে সওয়াল করেছেন।
এ দিন কয়েকজন আইনজীবী বার অ্যাসোসিয়েশনের বয়কট আন্দোলন উপেক্ষা করে বিচারপতি গিরীশ গুপ্তের এজলাসে মামলা লড়তে যান। এই সময়েই বয়কটপন্থী আইনজীবীদের কয়েকজন তাঁদের বাধা দেন বলে অভিযোগ। এই নিয়ে দুই পক্ষে বাকবিতন্ডা শুরু হয়। শেষ পর্যন্ত বাধা উপেক্ষা করেই ওই আইনজীবীরা তাঁদের মামলায় সওয়াল করেন। যে সব আইনজীবী এ দিন ঢুকতে বাধা পেয়েছেন, তাঁরা বিষয়টি প্রধান বিচারপতির নজরে আনবেন বলে জানিয়েছেন।
এ দিন তাঁর এজলাসে একটি খুনের চেষ্টার মামলায় এক অভিযুক্তের জামিন মঞ্জুর করে বিচারপতি গুপ্ত পাবলিক প্রসিকিউটার মনোজিৎ সিংহকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘‘যাঁরা বয়কটে যোগ দেননি তাঁদের আমার এজলাসে ঢুকতে বাধা দেওয়া হচ্ছে। এটা যেন না হয় সেটা দেখুন।’’
হাইকোর্ট সূত্রের খবর, মঙ্গলবার উত্তরপাড়া থানার খুনের চেষ্টার মামলায় অভিযুক্ত পক্ষ বিচারপতি গিরীশ গুপ্তের এজলাসে জামিনের জন্য আবেদন করেছিলেন। পাবলিক প্রসিকিউটারের কাছে মামলার কেস ডায়েরির খোঁজ করেন বিচারপতি গুপ্ত। কিন্তু তা দেখাতে পারেননি পাবলিক প্রসিকিউটার। তদন্তকারী অফিসারকে বুধবার কেস ডায়েরি নিয়ে হাজির হওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি। সেইমতো কেস ডায়েরি নিয়ে আসেন তদন্তকারী অফিসার। কেস ডায়েরি দেখে আবেদনকারীর জামিনও মঞ্জুর করেন বিচারপতি গুপ্ত।
এ প্রসঙ্গে বিচারপতি পাবলিক প্রসিকিউটার মনোজিৎ সিহকে বলেন, ‘‘আইনজীবীরা আমার এজলাস বয়কট করছেন ঠিক আছে। কিন্তু আদালতে মামলার কেস ডায়েরি আনা হচ্ছে না কেন? সব মামলার কেস ডায়েরি যাতে হাজির করা হয় তা আপনি দেখুন। তদন্তকারী অফিসারেরা যাতে এজলাসে আসতে পারেন সেটাও নিশ্চিত করুন।’’
বার অ্যাসোসিয়েশনের কেউই এ ব্যাপারে কোনও মন্তব্য করতে চাননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy