প্রতীকী ছবি।
গভীর রাতের রেলস্টেশনে এক তরুণীকে গণধর্ষণের দায়ে মঙ্গলবার দুই যুবককে ২০ বছর কারাদণ্ড দিল শিয়ালদহ আদালত। এর পাশাপাশি লাল্টু বিশ্বাস ও সুব্রত চৌধুরী নামে ওই দু’জনের এক লক্ষ টাকা করে জরিমানাও হয়েছে। সরকারি কৌঁসুলি অসীম কুমার জানান, জরিমানার টাকার ৯০ শতাংশ, অর্থাৎ ১ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা পাবেন ধর্ষিতা। তবে শিয়ালদহের দ্বিতীয় অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক জীমূতবাহন বিশ্বাসের নির্দেশ, এই জরিমানার অংশের সঙ্গে আরও ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা যোগ করে প্রশাসনকে মোট ৩ লক্ষ টাকা ওই তরুণীকে দিতে হবে।
ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৬-র ৩ নভেম্বর। তার এক বছর পেরোতেই বিচার শেষ করে সাজা শোনাল আদালত। আইনজীবীদের অনেকেই বলছেন, নিম্ন আদালতে বহু মামলার বিচার দীর্ঘায়িত হয়। সেখানে এত দ্রুত বিচার প্রক্রিয়া বিরল দৃষ্টান্ত। সরকারি কৌঁসুলি জানান, আসামিদের গ্রেফতারের ৯০ দিনের মাথায় চার্জশিট দেন দমদম জিআরপি-র তদন্তকারীরা। আসামিদের জেলে আটকেই বিচার করা হয়েছে। “ওই তরুণীও সাহসিকতার পরিচয় দিয়েছেন”,— বলছেন অসীমবাবু।
অসীমবাবু জানান, গড়িয়ার বাসিন্দা ওই তরুণী গত বছরের ২ নভেম্বর রাতে শেষ বনগাঁ লোকালে দমদম ক্যান্টনমেন্টে এক আত্মীয়ের বাড়ি যাচ্ছিলেন। মাঝরাতে স্টেশনে নেমে পানীয় জলের খোঁজ করছিলেন তিনি। তখনই দুই ঠিকা সাফাইকর্মী লাল্টু ও সুব্রত তাঁর পিছু নেয় এবং নির্জন জায়গায় তরুণীকে নিয়ে গিয়ে জোর করে মুখে মদ ঢেলে দেয়। তরুণী পালাতে গেলে একটি ফাঁকা শৌচাগারে নিয়ে গিয়ে তাঁকে ধর্ষণ করে। পরদিন ভোরে ওই তরুণী দমদম জিআরপিতে অভিযোগ দায়ের করেন। সঙ্গে সঙ্গেই আরজিকরে তাঁর ডাক্তারি পরীক্ষা করান তদন্তকারীরা।
পুলিশ সূত্রের খবর, সোর্স মারফত ক্যান্টনমেন্ট থেকেই লাল্টু ও সুব্রতকে ধরা হয়। জেলে টিআই প্যারেডে তাদের শনাক্তও করেন অভিযোগকারিণী। বিচারকের কাছে গোপন জবানবন্দিও দেন। অসীমবাবু জানান, তরুণী ও আসামিদের ডাক্তারি পরীক্ষায় ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy