জাল দু’হাজারি নোট দিয়ে মেটানো হয়েছিল কেটারার ও ডেকরেটরের পাওনা। ওই নোট চালানো হয়েছিল সোনার দোকানেও। তবে বন্ধক রাখা গয়না ছাড়াতে গিয়ে এক জন ওই টাকার সাত-আটটি নোট দিলে দোকানের মালিকের সন্দেহ হয়। ভাল ভাবে নজর করে তিনি দেখেন, সব নোটেরই নম্বর এক!
গত ২ মার্চ খিদিরপুরে জাল নোট উদ্ধার হওয়ার পরে তদন্তে নেমে গোয়েন্দারা এখন এই সব তথ্য জানতে পারছেন। তাঁরা আরও জেনেছেন, বাগনানের সাইবার কাফে-র ডিজিটাল প্রিন্টারে ছাপা ওই দু’হাজারি জাল নোটে ছ’লক্ষ টাকা এক ব্যবসায়ীর কাছে গিয়েছিল। বিনিময়ে ওই ব্যবসায়ী দেন অচল হওয়া হাজার ও পাঁচশোর নোটে ১৫ লক্ষ টাকা।
জানা গিয়েছে, ওই ব্যবসায়ীর কাছে কয়েক জন দালাল মারফত খবর যায়, ১০ হাজার টাকার অচল নোটের বদলে চালু চার হাজার টাকা মিলবে নতুন দু’হাজারি নোটে। সেই মতো ওই ব্যবসায়ী অচল নোটে ১৫ লক্ষ টাকা দিয়ে পেয়েছিলেন দু’হাজারি নোটে ছ’লক্ষ টাকা। ওই দু’হাজারি নোট অবশ্য নকল ছিল। আবার কমিশন বাবদ দালালদের ওই নকল নোটের কিছু দিয়েছিলেন ব্যবসায়ী। ওই লেনদেনে দালাল হিসেবে কাজ করা লোকজন সেই নোট দিয়ে বিভিন্ন পাওনা মেটান। তাঁদেরই এক জন বন্ধক রাখা গয়না ওই নোট দিয়ে ছাড়াতে গেলে ধরা পড়ে সেটা জাল।
গোয়েন্দাদের বক্তব্য, খিদিরপুরে ধরা পড়া জাল নোটের সন্দেহভাজন পাণ্ডা মানোয়ার মোল্লা ওরফে উজ্জ্বলের এক সঙ্গী পলাতক। সে-ও বাগনানের বাসিন্দা। সে ধরা না পড়লে জানা যাবে না, অচল নোট নিয়ে জাল নোটের চক্রীদের কী লাভ ছিল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy