—প্রতীকী চিত্র।
সহকারী লেখকের অনুমতি পেল আলিপুর মাল্টিপারপাস গভর্নমেন্ট গার্লস স্কুলের নিরাপত্তারক্ষীর মেয়ে নেহা সিংহ। রবিবার নেহার স্কুলের অষ্টম শ্রেণির দু’জন ছাত্রীকে তার সহকারী লেখক হিসেবে ঠিক করা হয়েছে। আজ, সোমবার শুরু হচ্ছে তার মাধ্যমিক পরীক্ষা।
পড়ুয়াদের সঙ্গে আপত্তিজনক আচরণের অভিযোগ ওঠে আলিপুর মাল্টিপারপাস স্কুলের রক্ষী রামেশ্বর সিংহের বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার অভিভাবকদের একাংশ তাঁকে মারধর করেন। সেই রোষ গিয়ে পড়ে তাঁর স্ত্রী বিন্দু় ও মেয়ে নেহার উপরেও। অভিযোগ, নেহাকে মাটিতে ফেলে মারা হয়। ছিঁড়ে দেওয়া হয় বই। তার হাতেও আঘাত করা হয় বলে অভিযোগ। হাত আর ঘাড়ের যন্ত্রণায় পরীক্ষার সময় অত ক্ষণ একটানা লেখা তার পক্ষে অসম্ভব বলে জানিয়ে সহকারী লেখকের জন্য আবেদন করে সে।
সেই কাজে তাকে সাহায্য করে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি। সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক সৌগত বসু বলেন, ‘‘রামেশ্বরের ঘটনার নিন্দার পাশাপাশি আমরা প্রথম থেকেই চেয়েছিলাম নেহা যেন ভাল ভাবে পরীক্ষায় বসতে পারে। সেটা হওয়ায় আমরা সকলেই খুশি।’’
নেহা টালিগঞ্জ আদর্শ হিন্দি হাই স্কুলের ছাত্রী। রবিবার ওই স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা মৌসুমী দাশগুপ্ত বলেন, ‘‘অষ্টম শ্রেণির দু’জন ছাত্রীকে নেহার সহকারী লেখক হিসেবে ঠিক করা হয়েছে। পর্ষদ সেই অনুমোদন দিয়েছে।’’ সরকারি বিদ্যালয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সহ-সভাপতি তথা মাল্টিপারপাস স্কুলের শিক্ষিকা শবরী মান্না বলেন, ‘‘রামেশ্বরের শাস্তি ও বদলি তো চাইছিই। কিন্তু নেহাও যেন সুষ্ঠু ভাবে পরীক্ষা দিতে পারে, তার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ আজ সোমবার, রাসবিহারীর একটি স্কুলে পরীক্ষা দেবে নেহা। রবিবার সে জানায়, পরীক্ষা দিতে যাওয়ার সময়ে বাবার সঙ্গে দেখা হবে না, এটাই তার সব থেকে বেশি খারাপ লাগছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy