Advertisement
১৮ এপ্রিল ২০২৪
State news

সোনিকার দেহ পিস হাভেনে, বিক্রম ট্রমায়, জেরার অপেক্ষায় পুলিশ

বিক্রম-সোনিকা কি সিট বেল্ট পরেছিলেন? বিক্রমের কথামতো সত্যিই কি কোনও গাড়ি তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা মেরেছিল? নাকি নিজের উপর থেকে অভিযোগ সরাতে বা ঘাবড়ে গিয়েই পুলিশকে এই বয়ান দিয়েছেন বিক্রম?

বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও সোনিকা সিংহ চৌহান।

বিক্রম চট্টোপাধ্যায় ও সোনিকা সিংহ চৌহান।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ৩০ এপ্রিল ২০১৭ ১৮:৪৯
Share: Save:

বিক্রম-সোনিকা কি সিট বেল্ট পরেছিলেন? বিক্রমের কথামতো সত্যিই কি কোনও গাড়ি তাঁদের গাড়িকে ধাক্কা মেরেছিল? নাকি নিজের উপর থেকে অভিযোগ সরাতে বা ঘাবড়ে গিয়েই পুলিশকে এই বয়ান দিয়েছেন বিক্রম? এই প্রশ্নগুলোই এখন ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের।

কারণ দুর্ঘটনার সময় বিক্রমই চালকের আসনে ছিলেন। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশ জেনেছে, বিক্রম অত্যন্ত বেশি গতিতে গাড়ি চালানোতেই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনায় প্রাণ যায় সোনিকার। ফলে পুলিশ বিক্রমের বিরুদ্ধে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলাও দায়ের করেছে। অথচ বিক্রম পুলিশকে জানায়, গলি থেকে একটি গাড়ি আচমকা বের হয়ে এসে তাঁদের ধাক্কা মারে। যদিও ওই জায়গায় এমন কোনও গলি চোখে পড়েনি পুলিশের। তাই বিক্রমের বয়ানের সত্যতা নিয়ে পুলিশ নিশ্চিত হতে পারছে না।

এ দিকে রবিবারও আতঙ্ক কাটেনি টলি অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়ের। ট্রমা এতটাই যে এখনও কথা বলতে পারছেন না তিনি। ফলে তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, এখনও বেশ কিছু দিন তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখা হবে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ না করা পর্যন্ত ঠিক কী ভাবে ওই দুর্ঘটনা ঘটেছিল তা নিশ্চিত হতে পারছে না পুলিশ। এ দিন টালিগঞ্জ থানায় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটিকে পর্যবেক্ষণে যায় ফরেন্সিক দল। দুর্ঘটনাস্থলেও যান তাঁরা। এয়ারব্যাগ কেন খোলেনি তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

আরও পড়ুন: ভয়াবহ দুর্ঘটনায় মৃত্যু মডেলের, জখম অভিনেতা বিক্রম চট্টোপাধ্যায়

এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, ওই রাতে বিকট আওয়াজ শুনে তাঁরা দৌড়ে যান। গাড়ির দরজা খুলে বিক্রম ও সোনিকাকে উদ্ধার করেন। দু’জনেরই মুখ দিয়ে রক্ত পড়ছিল। তারপর একটা ওলা ডেকে তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই সোনিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বিক্রম। রবিবার হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে সোনিকার মৃতদেহ। তা আপাতত পিস হাভেনে রাখা রয়েছে। সোমবার তা পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE