সিঁথি থানার ভিতরে স্থানীয় বাসিন্দা স্নেহময় দে (৬২)-র অসুস্থ হয়ে পড়া ও পরে মৃত্যুর ঘটনার তিন দিন পরে খুনের মামলা রুজু করল পুলিশ।
যে মহিলা সে দিন স্নেহময়বাবুর বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির অভিযোগ করেছিলেন, খুনের অভিযোগ মূলত তাঁর বিরুদ্ধেই। এ ছাড়াও স্নেহময়বাবুর এক ভাই ও তাঁর পরিবারের বিরুদ্ধেও ওই একই অভিযোগ এনেছে পুলিশ।
যদিও অভিযোগ, রবিবার সিঁথি থানায় যে মহিলা সাব-ইনস্পেক্টর স্নেহময়বাবুকে ‘লাঞ্চনা’ করেছিলেন, তাঁর নাম নেই এই মামলায়। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, ওই মহিলা অফিসার-সহ থানার ওসি ও অন্য অফিসারদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ খতিয়ে দেখছেন এসি পদের এক অফিসার। স্নেহময়বাবুর মৃত্যুর পরের দিন সোমবার ওই অভিযোগকারিণী, স্নেহময়বাবুর ভাই, ওই মহিলা অফিসার-সহ থানার ওসি-র বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী শিপ্রাদেবী। দু’দিন পরে সেই অভিযোগের ভিত্তিতেই বুধবার সন্ধ্যায় এই মামলা রুজু করল পুলিশ।
শিপ্রাদেবীর অভিযোগ, ওই ঘটনায় সিঁথি থানার ওসি এবং এক মহিলা সাব-ইনস্পেক্টরের দোষ আড়াল করা হচ্ছে। এ নিয়ে আদালত এবং মুখ্যমন্ত্রীর দ্বারস্থ হওয়ার কথাও জানান তিনি। পুলিশ জানাচ্ছে, অভিযোগ যে মিথ্যা, তা স্নেহময়বাবুর মৃত্যুর পরে ক্রমশ স্পষ্ট হচ্ছে।
পুলিশ সূত্রের দাবি, সিসিটিভির ফুটেজ থেকে সে দিন অভিযোগকারিণীর সঙ্গে থানায় হাজির হওয়া এক মহিলাকে চিহ্নিত করা গিয়েছে। তাঁর সঙ্গে কথা বলে পুলিশ জেনেছে, অভিযোগটি মিথ্যা। এই পরিস্থিতিতে লালবাজারের প্রবীণ অফিসারদের অনেকেই মনে করছেন, স্নেহময়বাবুকে পাকড়াও করে আনার আগে অভিযোগটি ভালভাবে খতিয়ে দেখলে এক জন বৃদ্ধের প্রাণ হয় তো এ ভাবে চলে যেত না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy