এক রাতের মধ্যে কাছাকাছি ৬টি বাড়িতে চুরি করে পালাল এক দল দুষ্কৃতী। মঙ্গলবার রাতের এই ঘটনায় স্বাভাবিক ভাবেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে সল্টলেকের বিজি ব্লকে।
পুলিশ সূত্রে খবর, দুষ্কৃতীদের একটি দল মঙ্গলবার রাতে হানা দেয় সল্টলেকের বিজি ব্লকে। কাছাকাছি ৬টি বাড়িকে নিশানা করে তারা অপারেশন চালায়। অবশ্য, কোনও বাড়ি থেকেই তারা খুব দামী কিছু জিনিস চুরি করতে পারেনি। একটি বাড়ি থেকে তারা হাতিয়ে নিয়েছে দু’টি আইফোন। বাকি পাঁচটি বাড়ির মধ্যে চারটি বাড়ি থেকে তারা নিয়ে গিয়েছে বাথরুমের কল, পাইপ, ম্যানহোলের ঢাকনা, জানলার পাশে রাখা টুকটাক জিনিসপত্র। ছয় নম্বর বাড়ি থেকে তারা চুরির চেষ্টা করেছিল, তবে কিছু নিয়ে যেতে পারেনি। চলে যাওয়ার সময় একটি বাড়িতে একটি শাবল ফেলে রেখে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। পুলিশের অনুমান, ওই শাবল দিয়ে চাড় দিয়েই তারা জানলা ভেঙে জিনিসপত্র তুলেছে।
চুরির ধরন থেকে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান, এটি কোনও বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। সবক’টি বাড়িতে চুরির পিছনে একটিই দলের হাত রয়েছে। সম্ভবত ড্রাগের নেশায় মজে থাকা কোনও দল নেশার খরচ তোলার জন্য ওই রাতে অপারেশনে বেরিয়েছিল। তাদের যে কোনও একজনকে ধরতে পারলেই চক্রটির হদিশ পাওয়া যাবে।
পঞ্চাশ পার করা সল্টলেক উপনগরীতে চুরির উপদ্রব নতুন নয়। জন্মলগ্ন থেকেই চুরির মুক্তাঞ্চল হিসেবে বদনাম জুটেছে এই অঞ্চলের। বর্তমান রাজ্য সরকার পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে পৃথক কমিশনারেট তৈরি করেছে বিধাননগরে। পরিকাঠামোও বাড়ানো হয়েছে। তবু যে চোরের ভয়েই কাঁটা হয়ে থাকতে হচ্ছে সর্বক্ষণ, তা নিয়ে ক্ষোভ তৈরি হয়েছে বাসিন্দাদের মনে। প্রশ্ন উঠছে সল্টলেকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে। প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকাও। বিজি ব্লকের বাসিন্দাদের দাবি, পুলিশ চোর ধরছে ঠিকই, চুরি যাওয়া জিনিস ফেরতও পাওয়া যাচ্ছে, তবু এ ধরনের ঘটনা যাতে না ঘটে, তার জন্য নজরদারির কোনও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে না।
পুলিশের এক কর্তা জানান, জুলাই মাসে একনাগাড়ে ১৩-১৪টি চুরির ঘটনায় সল্টলেকের নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে। রোজ রাতে নজরদারিও চলছে বিভিন্ন ব্লকে। তবে, মঙ্গলবার রাতে বিজি ব্লকের নজরদারিতে কোনও গাফিলতি ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পুলিশ ঘটনার তদন্তে নেমেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy