Advertisement
২৬ এপ্রিল ২০২৪

ঝিলে ডুবে মৃত্যু ছাত্রের

পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত শৌভিকের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি।

এই ঝিলে ডুবেই মৃত্যু হয় শৌভিকের। বুধবার, রামগড়ে। —নিজস্ব চিত্র।

এই ঝিলে ডুবেই মৃত্যু হয় শৌভিকের। বুধবার, রামগড়ে। —নিজস্ব চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ অক্টোবর ২০১৭ ০২:৩২
Share: Save:

সাঁতার কাটতে নেমে ঝিলের মাঝখানে চলে গিয়েছিলেন বছর কুড়ির ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। সেখান থেকে আর ফিরতে পারেননি। জলে তলিয়ে যাওয়া ওই যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকেরা মৃত বলে ঘোষণা করলেন তাঁকে। বুধবার সকালে ঘটনাটি ঘটে দক্ষিণ শহরতলির রামগড়ে। মৃতের নাম শৌভিক চন্দ্র (২০)। বাড়ি মধ্যমগ্রামে। তিনি যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রোডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র ছিলেন।

পুলিশ জানায়, এই ঘটনায় রাত পর্যন্ত শৌভিকের পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি। তবে এক পুলিশকর্তা জানান, প্রাথমিক ভাবে এই ঘটনায় সন্দেহজনক কিছু না মিললেও ময়না-তদন্তের রিপোর্ট মেলার পরেই মৃত্যুর কারণ নিশ্চিত হবে।

পুলিশ সূত্রের খবর, পাঁচ জন বন্ধুর সঙ্গে সকাল সাড়ে আটটা নাগাদ ঝিলে সাঁতার কাটতে গিয়েছিলেন শৌভিক। ঘটনার পরে তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে নেতাজিনগর থানার পুলিশ। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, রামগড়ের একটি মেসে থাকতেন ওই প়়ড়ুয়া। প্রায়ই বন্ধুদের সঙ্গে ওই ঝিলে স্নান করতে যেতেন। সাঁতার জানলেও শৌভিক খুব দক্ষ ছিলেন না বলেই প্রাথমিক তদন্তে জেনেছে পুলিশ। লালবাজারের সূত্র জানাচ্ছে, সাঁতার কাটতে
কাটতে কিছুটা মাঝখানে চলে গেলে হাবুডুবু খেতে শুরু করেন শৌভিক। কয়েক জন বন্ধু তাঁকে উদ্ধার করতে যান। স্থানীয় কয়েক জন বাসিন্দাও তাঁদের সাহায্যে এগিয়ে যান। পুলিশের একাংশের অনুমান, ঝিলের মাঝখানে গিয়ে দম হারিয়ে ফেলেছিলেন শৌভিক। তার ফলেই আর ভেসে থাকতে পারেননি।

স্থানীয় বাসিন্দা কানু মজুমদার জানান, যাদবপুরের বেশ কয়েক জন পড়ুয়া এলাকার একটি মাঠে রোজ সকালে খেলতে আসেন। ওই দলে শৌভিকও থাকতেন। খেলার পরে রামগড় ঝিলে স্নান সেরে তাঁরা ফিরে যেতেন। এ দিন ওই যুবক গভীর জলের দিকে যেতে থাকলে বাকি বন্ধুরা তাঁকে আর এগোতে নিষেধ করেন। কিন্তু ততক্ষণে তিনি অনেকটাই চলে গিয়েছেন। এর পরে হঠাৎই ঘটে দুর্ঘটনা।

ওই ব্যক্তি জানান, ওই ঝিলে ঢাল নেই। আচমকা খাড়া হয়ে গভীর হয়ে গিয়েছে। শৌভিক তা বুঝতে পারেননি বলেই তাঁর অনুমান। শৌভিককে স্থানীয় এক যুবক ও তাঁর এক বন্ধুই জল থেকে তুলে আনেন। জল থেকে তুলে তাঁর বুকে চাপ দিয়ে, মাথা ঝাঁকিয়ে জল বার করার চেষ্টা করেন তাঁর বন্ধুরাই। তার পরে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE