Advertisement
১৬ এপ্রিল ২০২৪

মাত্রাছাড়া আর্সেনিক, কবলে যাদবপুর

দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরে বহু জায়গায় পানীয় জলে বিপজ্জনক মাত্রায় আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি জলের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে এ কথা জানতে পেরেছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।

সোমনাথ চক্রবর্তী
শেষ আপডেট: ২৪ মার্চ ২০১৭ ০১:৩১
Share: Save:

দক্ষিণ কলকাতার যাদবপুরে বহু জায়গায় পানীয় জলে বিপজ্জনক মাত্রায় আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে। সম্প্রতি জলের নমুনা পরীক্ষা করিয়ে এ কথা জানতে পেরেছে রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর। যাদবপুর ছাড়াও নরেন্দ্রপুর, হরিনাভি-সহ কলকাতা সংলগ্ন বেশ কিছু এলাকাতেও জলে অত্যধিক পরিমাণ আর্সেনিক মিলেছে।

রাজ্যের ছ’টি জেলার ৮৪টি ব্লক আর্সেনিক-প্রবণ। এ ছাড়া, দু’টি জেলা ফ্লোরাইড-প্রবণ। ওই সব এলাকায় পরিস্রুত পানীয় জলের জন্য গভীর নলকূপের পরিবর্তে গঙ্গার শোধন করা জল পাইপলাইনের মাধ্যমে সরবরাহের কাজ হাতে দেওয়া হয়েছে।

রাজ্যের জনস্বাস্থ্য কারিগরি মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বৃহস্পতিবার নবান্নে জানান, রাজ্যের আটটি জেলা আর্সেনিক এবং ফ্লোরাইড-প্রবণ। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চাইছেন, ওই জেলাগুলিতে বেশি করে পরিস্রুত পানীয় জল দেওয়ার ব্যবস্থা করতে। সেই মতো বাগবাজারের গঙ্গার ঘাট থেকে জল নিয়ে পরিশোধন করে পাইপলাইনের মাধ্যমে সল্টলেক হয়ে নিউ টাউনে জলের প্রকল্পে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। প্রকল্পের কাজ বেশির ভাগ কাজই হয়ে গিয়েছে। ওই জল বহু গ্রামেও দেওয়া হবে।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জলের আর্সেনিক এবং ফ্লোরাইড-আক্রান্তদের নিয়ে যে কতটা চিন্তিত, তা বোঝাতে গিয়ে মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘কেন্দ্রীয় সংস্থাকে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরে প্রায় নয় একর জমি আর্সেনিক গবেষণা এবং পরীক্ষাগার তৈরির জন্য দিতে সম্মত হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরুলিয়া এবং বাঁকুড়ায় পাইপলাইন জলের ব্যবস্থা করছে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর।’’

কলকাতায় তো অনেক জায়গায় পানীয় জলে আর্সেনিক পাওয়া গিয়েছে। মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘আতঙ্কিত হয়ে লাভ নেই। এ বিষয়ে আমি কিছু বলতে পারব না। কলকাতা পুরসভা বলতে পারবে। তবে পুরসভার পক্ষ থেকে আমাদের কাছে পানীয় জল পরীক্ষা করাতে চাইলে করাতে পারে। পরীক্ষার ব্যবস্থা আমাদের দফতরের রয়েছে।’’ মন্ত্রীর কথায়, দেড়শো ফুটের বেশি গভীরে গিয়ে জল তোলা হলে সেই জলে আর্সেনিক পাওয়ার সম্ভাবনা কম।

সুব্রতবাবু আরও জানান, প্রণব মুখোপাধ্যায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী থাকার সময়ে ৫০ কোটি টাকা আর্সেনিকমুক্ত পানীয় জলের জন্য বরাদ্দ করেছিলেন। সেই টাকায় আর্সেনিক এবং ফ্লোরাইড-প্রবণ এলাকায় পরিস্রুত জলের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। ফ্লোরাইড-দূষণে আক্রান্তদের পরীক্ষা করে দেখা গিয়েছে, তাঁদের শরীর থেকে ক্যালশিয়াম বেরিয়ে যাচ্ছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

Jadavpur Arsenic
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE