চলছে প্রস্তুতি। —নিজস্ব চিত্র।
বাঙুর বইমেলার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার আয়োজক সংস্থা পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড। কোনও আঞ্চলিক বইমেলায় গিল্ডের এমন যোগদান এই প্রথম। এমনই দাবি ‘বাঙুর বই ও উৎসব কমিটি’র। শুধু বুক স্টল নয়, ফুড কোর্ট, শিল্পীদের প্যাভিলিয়ন, ছোটদের খেলার জায়গা, বই নিয়ে আলোচনা ও নানা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা থাকছে বাঙুর বইমেলার প্রথম বছরেই। থাকবে একটি ছোটো গ্রামও।
শীত পড়তেই শহর জুড়ে শুরু হয়ে যায় নানা ধরনের মেলা। অঞ্চলভিত্তিক বইমেলাও কম হয় না। ‘বাঙুর বই ও উৎসব কমিটি’র দাবি, তাদের এই বইমেলা স্থানীয় বইমেলাগুলি থেকে অনেকটাই আলাদা। মেলায় ঢুকতে কোনও প্রবেশমূল্য লাগবে না। বইমেলার নাম দেওয়া হয়েছে ‘পুস্তক পার্বণ ২০১৪’। ‘বাঙুর বই ও উৎসব কমিটি’র এক সদস্যের কথায়: “এটি কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার ছোট সংস্করণ।” কমিটির সাধারণ সম্পাদক মৃগাঙ্ক ভট্টাচার্য বলেন, “এই উদ্যোগ দেখে এগিয়ে এসেছে পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ড। এই প্রথম গিল্ড অন্য কোনও বইমেলায় সরাসরি যুক্ত হল। তাদের সহযোগিতায় মেলাটি চলবে ২৭ নভেম্বর থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত। দুপুর দু’টো থেকে রাত ন’টা পর্যন্ত খোলা থাকবে মেলা।”
পাবলিশার্স অ্যান্ড বুক সেলার্স গিল্ডের সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় বলেন, “বাঙুর বইমেলার অভিনব উদ্যোগ আমাদের ভাল লেগেছে। তাই এই বইমেলার সঙ্গে যুক্ত হয়ে মেলাকে উৎসাহিত করতে চাই। ভাল ভাল প্রকাশনাকে এর সঙ্গে যুক্ত করার ব্যাপারেও আমরা এই বইমেলা কমিটিকে সাহায্য করছি।”
ভিআইপি রোড থেকে বাঙুরে ঢুকতেই ডান দিকে বাঙুর বয়েজ স্কুল। এই স্কুলের পাশের মাঠেই হচ্ছে বইমেলা। বইমেলা কমিটি জানায়, কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার মতো এখানেও থাকছে লিটল ম্যাগাজিনের প্যাভিলিয়ন। থাকবে সাহিত্যিকদের আলোচনাসভা। শিল্পীদের জন্য থাকছে আলাদা প্যাভিলিয়ন। গায়ক, ব্যান্ডশিল্পীদের নিয়ে প্রতি দিনই থাকবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। পাশাপাশি থাকবে বাউল গ্রামও। মৃগাঙ্কবাবু জানান, ছোটদের জন্য মেলায় থাকছে নারায়ণ দেবনাথের কমিকসের চরিত্র বাঁটুল, হাঁদা-ভোঁদা, নন্টে-ফন্টেকে নিয়ে প্রদর্শনী। থাকছে বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগিতামূলক অনুষ্ঠান।
কেরিয়ার সংক্রান্ত আলোচনা, ক্যুইজ ও বিতর্কের পাশাপাশি ব্রিটিশ কাউন্সিলের ওয়ার্কশপও থাকবে। বইমেলা কমিটি জানায়, সূচনায় থাকবেন নীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তী, সঞ্জীব চট্টোপাধ্যায়, পর্যটনমন্ত্রী তথা স্থানীয় বিধায়ক ব্রাত্য বসু, খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, কৃষিমন্ত্রী পূর্ণেন্দু বসু, ত্রিদিব চট্টোপাধ্যায় প্রমুখ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy