Advertisement
১৯ এপ্রিল ২০২৪

ইস্ট-ওয়েস্টে বাধা কাটার আশা

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য এই মুহূর্তে গঙ্গার নীচে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে। কিন্তু গঙ্গার পূর্ব পারে, বি বা দী বাগ এলাকায় দু’টি সিনাগগ এবং একটি প্রাচীন ভবন থাকায় ওই কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে।

পরিদর্শন: কাজ দেখছেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মূলচাঁদ চৌহান। নিজস্ব চিত্র

পরিদর্শন: কাজ দেখছেন মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মূলচাঁদ চৌহান। নিজস্ব চিত্র

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ০১ মে ২০১৭ ০০:২৭
Share: Save:

ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর জন্য এই মুহূর্তে গঙ্গার নীচে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার কাজ চলছে। কিন্তু গঙ্গার পূর্ব পারে, বি বা দী বাগ এলাকায় দু’টি সিনাগগ এবং একটি প্রাচীন ভবন থাকায় ওই কাজ আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো কর্তৃপক্ষ অবশ্য আশাবাদী, আগামী দু’মাসের মধ্যে বি বা দী বাগ চত্বরে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার অনুমতি মিলবে। রবিবার গঙ্গার নীচে কাজের অগ্রগতি দেখতে এসে এ কথা জানান মেট্রো রেলের জেনারেল ম্যানেজার মূলচাঁদ চৌহান। তিনি বলেন, ‘‘দু’টি ইহুদি সিনাগগ এবং কারেন্সি বিল্ডিংয়ের মতো প্রাচীন ভবনের কারণে ওই এলাকায় সুড়ঙ্গ খোঁড়া স্থগিত রাখা হয়েছে। আমরা আশা করছি, শীঘ্রই প্রয়োজনীয় আইনের সংশোধন হয়ে যাবে। সে ক্ষেত্রে এই কাজে আর কোনও বাধা থাকবে না বলেই মনে হয়।’’

হাওড়া ময়দান থেকে সুড়ঙ্গপথে গঙ্গার নীচে যেখানে টানেল বোরিং মেশিন কাজ করছে, এ দিন সেই জায়গা পর্যন্ত পরিদর্শন করেন মেট্রোর জেনারেল ম্যানেজার। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কলকাতা মেট্রো রেল কর্পোরেশন লিমিটেড (কেএমআরসিএল)-এর মুখ্য ইঞ্জিনিয়ার বিশ্বনাথ দেওয়ানজি-সহ পদস্থ কর্তারা। পরে জিএম জানান, গঙ্গার নীচে সুড়ঙ্গের কাজ সন্তোষজনক ভাবে এগোচ্ছে। ৫০০ মিটারের মধ্যে ইতিমধ্যেই ২০০ মিটার পর্যন্ত কাজ হয়ে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত কোনও সমস্যা হয়নি। তাঁর কথায়, ‘‘যে ভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে প্রথম সুড়ঙ্গটি ১৫ জুনের মধ্যে কলকাতার দিকে পৌঁছে যাবে। দ্বিতীয় সুড়ঙ্গটি নদী পেরিয়ে যাবে ৩০ জুনের মধ্যে।’’

কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে, কলকাতায় পৌঁছনোর পরে যদি বি বা দী বাগ অঞ্চলে সুড়ঙ্গ খোঁড়ার অনুমতি না মেলে, তা হলে কি কাজ বন্ধ হয়ে যাবে? এ ব্যাপারে মূলচাঁদ বলেন, ‘‘কাজ যাতে না বন্ধ থাকে, সে জন্য আইন দ্রুত সংশোধন করা হবে বলে আমরা মনে করছি। আশা করছি, গঙ্গার নীচ দিয়ে সুড়ঙ্গ বি বা দী বাগে পৌঁছনোর আগেই প্রয়োজনীয় আইন সংশোধন হয়ে যাবে।’’

পাশাপাশি জিএম জানিয়েছেন, কলকাতা মেট্রোয় আত্মহত্যার প্রবণতা বাড়তে থাকায় তাঁরা উদ্বিগ্ন। তা রুখতে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর প্রতিটি স্টেশনে বসানো হচ্ছে প্ল্যাটফর্ম স্ক্রিন ডোর। ট্রেন স্টেশনে ঢোকার পরে যতক্ষণ তার দরজা না খুলছে, ততক্ষণ এই স্ক্রিন ডোরও খুলবে না। ফলে আত্মহত্যা করার সুযোগ আর থাকবে না। মূলচাঁদ জানান, হাওড়া ময়দান থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত ১২টি স্টেশনে এই স্ক্রিন ডোর বসানো হচ্ছে। খরচ ধরা হয়েছে ১২ কোটি টাকা।

জিএম বলেন, ‘‘যে ভাবে কাজ এগোচ্ছে, তাতে শিয়ালদহ থেকে সেক্টর ফাইভ পর্যন্ত প্রথম পর্যায়ের কাজ আগামী বছরের জুনের মধ্যে শেষ হবে। হাওড়া ময়দান থেকে শিয়ালদহ পর্যন্ত দ্বিতীয় পর্যায়ের কাজ হয়ে যাবে ২০১৯-এর ডিসেম্বরের মধ্যে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

অন্য বিষয়গুলি:

East West Metro
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE