ফাইল চিত্র।
পুর নিগম তৈরির পর দেড় বছর কেটে গিয়েছে। অথচ এখনও তাদের কাছে এলাকার জমি, জলাশয় সম্পর্কে কোনও তথ্যই নেই। একের পর এক বেআইনি নির্মাণ থেকে শুরু করে জলাশয় ভরাটের ঘটনা ঘটেই চলেছে। প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে এই বিষয়ে চিঠি পাঠিয়েছেন পুর-কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ফল মেলেনি। এক বছরের খতিয়ান নিতে এসে বিধাননগর পুরসভায় সেই তথ্যভাণ্ডার না পাওয়ায় প্রশ্নের মুখে পড়ল রাজ্য বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটি।
বুধবার বিধাননগর পুরভবনে, বিধানসভার স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রথীন ঘোষ-সহ ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল যায়। সেখানে বিধাননগর পুরসভা, নবদিগন্ত শিল্পনগরী কর্তৃপক্ষ এবং নিউ টাউন কলকাতা ডেভেলপমেন্ট অথরিটির এক বছরের কাজের পর্যালোচনা করতে গিয়েছিল ওই স্ট্যান্ডিং কমিটি। তিন কর্তৃপক্ষই কাজের খতিয়ান এবং তাঁদের পরিকল্পনা ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে দেখান। এর পরে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা নিকাশি, কর ব্যবস্থা, মিড-ডে মিল, পরিবেশ, স্বাস্থ্য-সহ একাধিক বিষয় নিয়ে পুরসভা ও দু’টি সংস্থার বক্তব্য জানতে চান।
বিধাননগর পুরসভার প্রতিনিধিরা জানান, সাবেক রাজারহাট-গোপালপুর পুরসভা, কয়েকটি পঞ্চায়েত এলাকা ও সাবেক বিধাননগর পুরসভা নিয়ে নতুন পুরসভা তৈরি হয়েছে। ভৌগোলিক সীমারেখাও নির্দিষ্ট করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু পুর-এলাকায় কোন দফতরের কত জমি, কতটা বেসরকারি জমি, জলাশয় কত, তার মালিকানা কী ভাবে বিন্যস্ত সে বিষয়ে কোনও তথ্য পুরসভা পায়নি। এর ফলে সম্পত্তি কর লাগু এবং আদায়ের ক্ষেত্রে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। সেই সূত্রেই লাইসেন্স থেকে মিউটেশন প্রক্রিয়াতেও প্রভাব পড়ছে। উপরন্তু বেআইনি নির্মাণ এবং জলাশয় ভরাটের সমস্যাও রয়েছে। তাই এই বিষয়ে কি করণীয় তা স্ট্যান্ডিং কমিটির কাছে জানতে চাওয়া হয়।
পুরসভা সূত্রের খবর, এই বিষয়ে স্ট্যান্ডিং কমিটির সদস্যরা বিভিন্ন পরামর্শ দিয়েছেন। পুর-এলাকায় সম্পত্তি করের ক্ষেত্রে সামঞ্জস্য আনার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি জমি সংক্রান্ত তথ্য যাতে পুরসভা পায়, সে বিষয় নিয়ে বিধানসভায় আলোচনার প্রস্তাব দেবে স্ট্যান্ডিং কমিটি। এর পাশাপাশি সম্পত্তি কর এবং সরকারি অনুদান নিয়েও আলোচনা হয়। পুরসভার এক প্রতিনিধি জানান, সরকারি অনুদানের ক্ষেত্রে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। যেমন, ‘হাউজিং ফর অল’ প্রকল্পে এখনও কোনও টাকা পায়নি পুরসভা। তবে সরকারি অনুদান ছাড়াই কী ভাবে পুরসভা তহবিল তৈরি এবং অনুদান সংগ্রহ করতে পারে সে বিষয়েও আলোচনা হয়েছে বলে পুরসভা সূত্রের খবর।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy